পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের ফান্স-যাত্রা। ১০৩ লাগিলেন। এইরূপভাবে তাঁহারা দ্বিতীয় রাত্রিও তথায় যাপন করিলেন। পরদিন প্রত্যুষে তঁাহারা তথা হইতে ডম্বার্টনাভিমুখে যাত্রা করিলেন। নগরেব অদূববর্তী টরউইড নামক স্থানে তাহাব সমস্ত দিবস যাপন করিয়া রজনী আগত হইলে গুপ্ত ভাবে নগর-মধ্যে প্রবেশ করিলেন। তথায় জাতীয় ভাবে উদ্দীপিত ওয়ালেসের পূর্বপরিচিত এক বিধবা রমণী বাস করিতেন। ওযালেস, তাহাব গৃহে গিয়া উপস্থিত হইলেন। বিধবা রমণী স্কটিশ বীরবৃন্দকে প্রাকার বেষ্টিত সমীপৰ ৰ্ত্তিনী গোলাবাড়ীতে লইয়া গিয়া লুক্কায়িত করিয়া বাগিলেন। এবং তথায় চৰ্ব, চোষ্য, লেহ্য, পেয় দাবা তাহাদিগকে অতিথিসৎকার করিলেন। তাহার নয় পুত্র ছিল। তিনি সকলকেই ওয়ালেসের ব্রতে দীক্ষিত হইবার জন্য শপথ করাইলেন। বিধবা রমণী ইংবাজদিগকে কর প্রদান করিয়া সুখে ও স্বচ্ছন্দে নগরে বাস করিতেছিলেন, কিন্তু জাতীয় দলের আগমনে সে শান্তিতে জলাঞ্জলি দিয়া জাতীয় কাশ্যে আত্মােৎসর্গ কবিলেন। ওয়ালেস যে যে গৃহে ইংরাজে বাস করিতেছিলেন, বিধবা বমণীকে সেই সেই গৃহে সঙ্কেতচিহ্ন ।দয়। তসতে আদেশ করেন। তাহা সম্পন্ন হইলে তিনি ও তদীয় সচবৰগ অস্ত্র শস্ত্রে সুসজ্জিত হইয়া অশ্বপৃষ্ঠে আরােহণ পূৰ্ব্ব ক নগরপথে বহির্গত হইলেন। তঁাহাবা সৰ্ব্ব প্রথমে একটা হােটেলে গিয়া উপস্থিত হইলেন। কয়েক জন ইংরাজ তথায় পান ভোজনাদি করিতেছিলেন। ওয়ালেসের প্রচণ্ড খাঘাতে তাহারা অনেকেই ভূশায়িত হইলেন। তাহার সহচরবৃন্দ অবশিষ্ট ইংরাজগণকে শমনসদনে প্রেরণ করিলেন। হােটেলের অধ্যক্ষ এই ঘটনায় আনন্দে আট খানা হইলেন, এবং মদ্য মাংসাদি দ্বারা তাঁহাদিগের অতিথিসৎকার করিলেন। তাহাদিগকে পরিতােষ পূৰ্ব্বক পানভােনাদি করাইয়া হােটেল-স্বামী পথদর্শক হইয়া তাহাদিগকে প্রতিহিংসার কাসে লইয়া গেলেন। তিন শত ইংরাজ নগররক্ষার্থে নিয়ােজিত ছিলেন ; সেই রজনীতেই তাহারা একে