পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের ফান্স-যাত্রা। ১০৯ হাজার সৈন্য সহ স্কিমজিবকে ডণ্ডীব অবরােধকাৰ্য্যে নিয়ােজিত করিয়া স্বয়ং আট হাজার সৈন্য লইয়া সেন্ট জননাভিমুখে যাত্রা করিলেন। এখানে তিনি ইংরাজদিগের প্রতীক্ষা করিয়া কয় দিন রহিলেন। ইত্যবসরে ইংরাজসেনাপতি উডষ্ট দশ সহস্র সৈন্য সহ ষ্টার্লিঙব্রিজ নামক স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। যেন একখানি কাল মেঘ আসিয়া স্কটলণ্ডের সৌভাগ্য-সূৰ্য্যকে আচ্ছাদন করিল। ব্রয়ােদশ অধ্যায়। সেরিফ মুইয়ারের যুদ্ধ—ফলকার্কের যুদ্ধ-সাজ গ্ৰেহামের মৃত্যু-ক্রসের সহিত ওয়ালেসের সাক্ষাৎ—লিঙ লিপ্ত গাউও ইংরাজেরা সহসা আক্রান্ত —ডণ্ডী অধিকৃত ওয়ালেসের পদত্যাগ—ফ্রান্সে গমন—লিনের জন হত-ফরাসিরাজ কর্তৃক মহা । সমাদরে ওয়ালেসের গ্রহণ। ডণ্ডীর অববােধ উত্তোলিত কবাই উড়কের লক্ষ্য ছিল। এই উদ্দেশ্যে, টে নদীতে রণতরি সকলও প্রেরিত হইল। মহতী সেনার অধিনায়ক হইয়া আসায় তাহার অন্তরে স্কট-ভীতি উদিত হয নাই। বিশেষতঃ তাহার সুদক্ষ পথদর্শকেরা তাহাকে সম্মুখবর্তী উপত্যকা প্রদেশ পরিহার পূর্বক সেন্ট জনের দিক দিয়া লইয়া যাইতে সঙ্কল্প করিয়াছিল ; উক্ত উপত্যকা প্রদেশে ওয়ালেস সসৈন্য শত্রুর আক্রমণ প্রতীক্ষা করিতেছিলেন। উড ৪ অধিত্যকা প্রদেশ দিয়া যাইবার সময় দেখিলেন স্কট সৈন্যের সংখ্যা তাহার সৈন-সংখ্যা অপেক্ষা অল্প। দেখিয়া যুদ্ধার্থী হইয়া, অতর্কিত ভাবে সেই উপত্যকা-প্রদেশে নামিলেন। ইংরাজসৈন্য, এরূপ ধীরভাবে চলিতেছিল যে সার জন রামজে তাহাদিগকে সর্ব প্রথমে দেখিয়া আর ম্যামের লােকজন বলিয়া বিবেচনা করিয়াছিলেন। কিন্তু ওয়ালেসের সুতীক্ষ্ণ চক্ষু নিমেষ