পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। ওয়ালেস-বুঝিলেন এ সাধের মুকুট তাহার মস্তকে সাজিতেছে না বুঝিলেন বিধাতা তাহাকে জাতীয় সেনাপতি করিয়া পাঠান নাই~বুঝিয়া তিনি বিষাদে নিমগ্ন হইলেন। সমস্ত স্কটিশ-শিবির বিষাদ-মেঘে আবৃত হইল।। সুচতুর এডওয়ার্ড এই অন্তবিচ্ছেদের সংবাদ পাইলেন—পাইয়াই আবল হিয়ারফোর্ডকে ত্রিশ সহস্র সৈন্য সহ অবিলম্বে ৪য়াটের বিরুদ্ধে প্ৰেৰণ করিলেন। ষ্টুয়ার্ট তৎক্ষণাৎ রণসজ্জায় সজ্জিত হইলেন। কিছু কাল উভয় পক্ষে অতি ঘােরতর রণ হইতে লাগিল। অবশেষে ইংজের। রণে ভঙ্গ দিয়া ইংরাজ সেনানিবেশে গিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিল। বিশ সহস্র ইংবাজ এই রণে হত হয়। ওয়ালে দূর হইতে ষ্টুয়ার্টের বীব দেখিয়া আনন্দে উচ্ছসিত হইলেন এবং বার বার হস্তকম্পন দ্বাৰা ঠুয়ার্টের প্রশংসা করিতে লাগিলেন। কিন্তু এডওয়ার্ড সংকল্প হইতে বিচলিত হইবার নহেন। তিনি আবার চল্লিশ হাজার সৈন্য দিয়া ব্রুস্ ও বিস বেককে স্কটিশ সৈন্যের বিরুদ্ধে প্রেরণ করিলেন। এবার ওয়ালেসের মন কাতর হইল—ভাবী জাতীয় অমঙ্গলের আশঙ্কায় তাহার চিত্ত দোলায়মান হইল। একবার ইচ্ছা করিলেন অভিমানকে পদদলিত করিয়া জাতীয় কাৰ্য্যে আত্মাহুতি প্রদান করেন, কিন্তু এবার অভিমান স্বদেশানুরাগকে পরাজিত করিল। তিনি গারিবল্ডীর ন্যায় বলিতে পারিলেন না যে সামান্য পদাতিকরূপেও যদি জাতীয় কাৰ্য্য করিতে পারি, তাহা হইলেও আপনার জীবন সার্থক মনে করিব। এস্থলে গ্যারিবঙীর সহিত ওয়ালেসের তুলনা হয় না। তিনি কোন্ প্রাণে জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষার ভার বিলাস-লালিত অদূরদর্শী ঔয়াটের হস্তে সমর্পণ করিয়া সাংখ্য পুরুষের ন্যায় উদাসীনভাবে দূরে দাড়াইয়া জাতীয় বলক্ষয় দেখিতে লাগিলেন ? না ওয়ালেন্স! তােমার জীবনের সমস্ত কার্ষের সহিত আদ্যকার ব্যবহারের সঙ্গতি নাই। তুমি যে জাতীয় স্বাধীনতার জন্য আজীবন সৰ্বসুখে স্বেচ্ছাবঞ্চিত, আজ ছার অভি মানের দাস হইয়া সেই জাতীয় স্বাধীনতারত্নকে করে পাইয়াও মত