পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩০ | ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। পায়ে তাহা পরাইয়া দিবেন বলিয়া প্রতিজ্ঞারূঢ় হইলেন। এই জন্য তিনি স্বদেশে বিদেশে যে যেখানে ছিল সমস্ত সৈন্য ও সামন্তবর্গকে নিজ পতাকামূলে আসিয়া দাড়াইতে আদেশ করিলেন। অসংখ্য রণতরি খাদ্য দ্রব্যে ও বস্ত্রাদিতে পরিপূর্ণ হইয়া জলপথে স্কটলণ্ডাভিমুখে ধাবিত হইল। তিনি স্বয়ং সেই মহতী সেনা লইয়া স্থলপথে উত্তরাভিমুখী হইলেন। এদিকে ফিলিপের বিশ্বাসঘাতকতা এই সময়ে চরম সীমা লাভ করিল। তিনি স্কটিশ কমিশনারগণকে এই মুমূষু সময়ে আবদ্ধ করিয়া রাখিলেন। এডওয়ার্ডকে স্কটলণ্ডের সহিত স্বতন্ত্র সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ করিবার জন্য চেষ্টা করিতেছেন এই স্তোভ-বাকে কৌশলে তাহাদিগকে নজরবন্দী করিয়া রাখিলেন। তাদৃশ বীরবৃন্দের তৎকালে স্বদেশে অবস্থিতি একান্ত প্রয়ােজনীয় ইইয়া দাড়াইয়াছিল। তথাপি কিলিপ কিছুতেই তাহাদিগকে আসিতে দিলেন না। এইরূপে তিনি প্রকারান্তরে এডওয়ার্ডের সহায়তা করিতে লাগিলেন। এডওয়ার্ডের আগমনবার্তা স্কটলণ্ডের সৰ্ব্বতঃ প্ৰস্ত হইতে না হইতেই অর্ধ-হৃদয় সম্রান্ত স্কটগণ অগ্রবর্তী হইয়া আসিয়া এড ওয়ার্ডের নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিলেন। কাপুরুষ জাতীয় বিশ্বাসঘাতক সার জন মণ্টীথ ? সেই সকল সামন্তবর্গের অগ্রণী । তিনি এই বিশ্বাসঘাতকতার পুরস্কার-স্বরূপ সমস্ত লেনক্স্ প্রদেশের অধিপতিত্ব প্রাপ্ত হইলেন; এবং তাহার পূর্ব পদেও (ডম্বার্টনের গবর্ণরত্ব) থাকিতে অনুমতি পাইলেন। পঞ্চদশ অধ্যায় । ওয়ালেসের সঙ্কটাবস্থা। ": "যখন এডওয়ার্ড অগণ্য সৈন্য লইয়া তৃতীয় বার স্কটলও আক্র মণ করিলেন, তখন ভীত ও চকিত স্কটলও ওয়ালেসকে এই ভীষণ