পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। সুতরাং তিনি তৎক্ষণাৎ নিজ অসি নিষ্কোশিত করিয়া একাঘাতে নাইটের দেহকে দ্বিধা-বিভক্ত করিলেন। নাইটের মৃত্যুতেও যুদ্ধ নিবৃত্ত হইল না। কারণ তদীয় ভ্রাতা সৈন্যসহ ওয়ালেসের সঙ্গে ঘােরতর রণে প্রবৃত্ত হইলেন। কিন্তু সিংহের নিকট মেষশাবকের বিক্রম কতক্ষণ রহে ? অচিরকালের মধ্যে ওয়ালেস্ ও তাহার বীর সহচরবৃন্দের খাঘাতে নাইটের ভ্রাতা ও তাহার ক্ষুদ্র সেনাদল সমন-সদনে প্রেরিত হইলেন। কেবল সপ্তজনমাত্র সৈন্য প্রাণ লইয়া পলায়ন করিতে সক্ষম হইয়াছিল। ওয়ালেসের সহচরবৃন্দের মধ্যে অনেকেই আহত হইয়াছিলেন, কিন্তু একজনও হত হন নাই। ফরাশিরাজ ওয়ালেসের প্রতি এই আক্রমণের সংবাদ শুনিয়া নিতান্ত দুঃখিত হইলেন, এবং ওয়েলেসকে নিজ পরিবার মধ্যে থাকিতে নিতান্ত অনুরােধ কবিলেন। বলিলেন যে তাহা হইলে কেহ তাহার কেশস্পর্শও করিতে পারিবে না। রাজা ওয়ালেসকে অত্যন্ত ভাল বাসিতেন, এবং ওয়ালেসকে এইরূপ বিপদ হইতে রক্ষা করিবার জন্য সতত চেষ্টা করিতেন। তথাপি ওয়ালেস,কে প্রায় মধ্যে মধ্যে এইরূপ বিপদে পড়িতে হইত। মৃত নাইট, ও নাইট-ভ্রাতার দুই জ্ঞাতি ভ্রাতা প্রতিহিংসা লইবার জন্য কৌশলে মিথ্যা করিয়া রাজাকে জানাইল যে ওয়ালেস সিংহের সহিত যুদ্ধ করিয়া নিজ পরাক্রম প্রদর্শন করিবার জন্য নিতান্ত ইচ্ছুক। ফরাশিরাজ তাহাদিগের দুরভিসন্ধি বুঝিতে না পারিয়া তাহাতে অনুমােদন করেন। উক্ত জ্ঞাতি ভ্রাতৃদ্বয়ের অভিপ্রায় যে ওয়ালেসের ধ্বংস সাধন, তাহা তাহার মনে একবারও উদিত হয় নাই। এই জন্য তিনি এই বীরক্রীড়ার জন্য সমস্ত আয়ােজন করিতে আদেশ দেন। নির্দিষ্ট দিবসে রাজা সভাসদ্বর্গ সমভিব্যাহারে রঙ্গ-স্থলে উপস্থিত হইলেন। বীরচূড়ামণি ওয়ালেস অকুতােভয়ে রঙ্গস্থলে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। প্রাণের জন্য তিনি কখন ভাবেন নাই। তবে তাহার মনে এই ক্ষোভ উপস্থিত