পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

+ ওয়ালেসের হস্তে বটলারের পতন। ১৩ প্রধান ইংরাজসেনাপতি আর ইয়র্ক বটলারকে বলিয়া পাঠাইলেন যে তিনি তাহার সাহায্যে শঘ্রই গমন করিতেছেন—এবং তাহার যাওয়া পৰ্যন্ত তিনি যেন নিজ দুর্গ হইতে বহির্গত না হন। কিন্তু বটলার ওয়ালেসের অবরােধ ক হইবার জন্য এত ব্যস্ত হইয়া ছিলেন, যে সে উপদেশ মানিয়া চলিতে পারিলেন না। তিনি ওয়ালেসের সহিত নির্জনে দেখা করিয়া তাহাকে তঁাহার হস্ত ভিন্ন আর কাহারও হস্তে অত্মসমর্পণ করিতে নিষেধ করিলেন,-বলিলেন, “আপনি আমার পিতা ও পিতামহকে বধ কবিয়াছেন, এক্ষণে আমার এই সামান্য অনুরােধ রক্ষা করিয়া সেই পাপের কথঞ্চিৎ প্রায়শ্চিত্ত করুন। আপনাকে আমি এখনই আত্মসমর্পণ করিতে বলিতেছি এরূপ নহে—আপনি যখন আত্মরক্ষায় অসমর্থ হইয়া আত্মসমর্পণ করা আবশ্যক মনে করিবেন, তখন যেন আমা ভিন্ন আর কাহাব ও হস্তে আত্মসমর্পণ না করেন-আমার এই মাত্র অনুবােধ”। ওয়ালে বটলারের এই নিষ্ঠ র অভিপ্রায় শুনিয়া হাসিয়া উঠিলেন, এবং বলিলেন যে সমস্ত ইংলণ্ড সমবেত হইয়া আসিলেও তাহাকে পরাস্ত করিতে পারিবে না। ও লেকে মন্ত্রে ব সাধন কিম্বা শরীর পাতন এই সঙ্কল্পে দীক্ষিত দেখিয়া বট লার সমস্ত রজনী স্কট দুর্গ বিরিয়া রহিলেন। রজনী প্রভাত হইল—কিন্তু অন্ধকার দূর হইল না-নৈশ তিমিরের পরিবর্তে কুজ ঝটিকা-জনিত তিমিরে জগতীতল আচ্ছন্ন হইল। সেই সুযােগে স্কটিশ বীরবৃন্দ দাক দুর্গ হইতে বহির্গত হইয়া ইংরাজ শিবিবের উপর আসিয়া পড়িলেন। ইংরাজের কিছুই দেখিতে পাইল না-অথচ অসংখ্য ইংরাজ নিহত হইল। সেনাপতি বট'লার ওয়ালেসের সুতীক্ষ্ণ তরবাবির আঘাতে শমনসদনে প্রেরিত হইলেন। সেনাপতির মৃত্যুতে সমস্ত ইংরাজসেন ভয়চকিত হইয়া রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিল। স্কটেরা এই সুযােগে মেথ ভেন্ অরণ্যাভিমুখে প্রস্থান করিলেন। এখানে অপৰ্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী সংযােজিত হওয়ায় তাহাদিগের আর কোন কষ্ট রহিল না। এইখানে