পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৬ ওয়ালেমের জীবনবৃত্ত। ছিলেন। এমনই সহানুভূতিপুর্ণ বচনে তিনি এই কথাগুলি বলিলেন যে ওয়ালেস, সন্দেহ করিতে পারিলেন না। তথাপি তিনি বিশ্বাস রাখিবার জন্য মন্টীথকে প্রতিজ্ঞাপাশে আবদ্ধ করিলেন। মন্টীথ অম্লানবদনে ঈশ্বর-সমীপে প্রতিজ্ঞা করিলেন যে কখনই ওয়ালেকে শক্তহস্তে সমৰ্পণ করিবেন না। সরলহৃদয় ওয়ালেস, এইরূপে মণ্টীথের কুহকে ভুলিয়া নিজ হস্তদ্বয় রশ্মিদ্বারা আবদ্ধ করিতে অনুমােদন করিলেন। আপনি ধরা না দিলে সে নর-সিংহকে ধরিতে পারিত এমন লোেক কেহ ছিলনা। বন্ধহস্ত হওয়ার পর তিনি প্রিয়বন্ধু কালের অনুসন্ধান করিলেন, কিন্তু কোন অনুসন্ধান পাইলেন না। তখন বুঝিলেন যে তিনি বিশ্বাসঘাতক দস্যুর হস্তে পতিত হইয়াছেন। তখন বুঝিলেন যে তাহার কপাল ভাঙ্গিয়াছে। কিন্তু নিজের তাবনা অপেক্ষা স্কুট লণ্ডের ভাবনায় তিনি অধিকতর অভিভূত হইলেন। তাহার অবর্তমানে স্কট লণ্ডের কি দশা হইবে এই ভাবিয়া তিনি নিরতিশয় কাতর হইলেন। এদিকে ওয়ালেসের বন্ধুবান্ধবেরা ওয়ালেসের এসমস্ত বৃত্তান্ত কিছুই অবগত ছিলেন না। ওয়ালেস, তাহাদিগের হস্ত-বহির্ভূত হইলে পর, তাহারা সবিশেষ জানিতে পারিলেন। মীথ, এত দ্রুত ওয়ালেসকে লইয়া গিয়াছিলেন যে, তাহারা প্রত্যুষে কালইলে আসিয়া উপস্থিত হইলেন, এবং তথায় আসিয়াই তাহাকে লডক্লিফোড ও ভ্যালেনসের হস্তে সমৰ্পণ করিলেন। তাহারা ওয়ালে কে উক্ত নগরের কারাগারে আবদ্ধ করিয়া রাখিলেন। সেই অবধি সেই কারাগার ‘ওয়ালেস টাওয়ার নামে খ্যাত হইয়াছে। কুক্ষণে ওয়ালেস, একাকী ক্রসের অভ্যর্থনায় নির্গত হইয়াছিলেন। কুক্ষণে তিনি বিশ্বাসঘাতক মন্টীথকে বিশ্বাস করিয়া তাহার হন্তে আত্মসমর্পণ করিয়াছিলেন! হায় কি হইল । স্কটলণ্ডের ধ্রুবঅরা আজ খসিয়া পড়িল! কে এখন স্কটলগুকে শত্রু হম্ভ হইতে { উদ্ধার করিবে ?