পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ওয়ালৈসের বিচার ও প্রাণদণ্ড। ১৪৯ ক্ষুদ্রচেতা এডওয়ার্ড এরূপ নিদারুণ সময়ে ওয়ালেকে এরূপ মৰ্ম্মবেদনা দিতে কিঞ্চিত্রও কুণ্ঠিত হইলেন না। ইংরাজরাজের এ অভ্যাস চিরন্তন। একদিন ওয়েল সের পেটি য়ট লিওলিনকেও এইরূপ মর্মন্তুদ অপমান করা হইয়াছিল। তঁাহার মন্তক কাটিয়া। লইয়া লণ্ডন টাওয়ারের উপর রাখিয়া তদুপরি আইভী লতার মুকুট অর্পিত করা হইয়াছিল। ওয়ালেসের বধের পর সার সাইমন ফেজরেরও এই দুর্দশা করা হইয়াছিল। ওয়ালেসের বিরুদ্ধে রাজ-বিদ্রোহিতার অভিযােগ করা হইল। সিগ্রেভ, মালুরী, স্যাণ্ডউইচ, রাক্ ওয়েল, ব্লিণ্ড, এই পাঁচজন জজে ওয়ালেসের বিচার আরম্ভ করিলেন। বিচারের ফল যাহা হইবে তাহা পূর্বেই স্থিরীকৃত ছিল। তথাপি জজেরা লেক-ধর্মের অনুরােধে ওয়ালেসকে জিজ্ঞাসা করিলেন ‘তুমি রাজবিদ্রোহিতার অপরাধে অভিযুক্ত হইয়াছ, তুমি দোষী কি নির্দোষী? ওয়ালেস উত্তর দিলেন ‘আমি নির্দোষী, কারণ আমি কখন ইংলণ্ডেশ্বরের প্রজা ছিলাম না, সুতরাং রাজবিদ্রোহিতার অভিযােগ আমার বিকদ্ধে হইতে পারে না। জজেরা ওয়ালেসের এ সঙ্গত উত্তরে কর্ণপাত ও করিলেন না। অন্তজাতীয় বিধি অনুসারে তিনি যে রাজবিদ্রোহিতা-অপরাধে দণ্ডনীয় হইতে পারেন না, তাহা জগৎ বুঝিল, কিন্তু জজের। বুবিয়াও বুঝিলেন না। কারণ তাহার এড়ওয়ার্ডের নিকট নিজ নিজ কর্তব্যজ্ঞান ও ধৰ্ম্মবুদ্ধি বিক্রীত করিয়াছিলেন। তাই আজ তাহারা বিচারকের মর্যাদায় ও দায়িত্বে পদাঘাত করিয়া বিড়ম্বনাময় লােক-দেখানে বিচারকার্য্যে প্রবৃত্ত হইলেন। তাই আজ তাঁহারা নিম্নলিখিত অযৌক্তিক ও ন্যায়বিগতি মন্তব্য প্রকাশ ও দণ্ডাজ্ঞা প্রচার করিলেন। তাহারা | এডওয়ার্ড যাহা করিতে বলিয়াছিলেন, তাহাই করিয়া বিচারকের দায়িত্ব হইতে মুক্ত হইলেন। তাহাদের রায়ের মর্ম এই-স্কটলণ্ডেশ্বর জন বেলিয়ল, রাজ্যচ্যুত হওয়ায়, ইংলণ্ডেখর এডওয়ার্ড স্কটলও বিজিত ও অধিকৃত করেন। স্কট