পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। ওয়ালে এক দিন স্থানান্তব হইতে ডঞ্জী প্রত্যাগমন কালে উওীর গবর্ণর সেবাইএর পুত্র কর্তৃক আক্রান্ত হন। কম্বলও-নিবাসী সেবাই এডওয়ার্ডের অধীনতা স্বীকার করায় এডওয়ার্ডের কৃপায় ভণ্ডী ও ফকারের দুর্গের অধীশ্বর হইয়াছেন। গবর্ণর সেলবাইতাহার দুর্দমনীয় অর্থগৃধু তামিবন্ধন, এবং তদীয় পুত্র-অন্যায় ঘৃণা ও অযোগ্য গর্বের নিমিত্ত, প্রজাবৃন্দের সবিশেষ অপ্রীতিভাজন হইয়া উঠিয়াছিলেন। এক দিন গবর্ণর-পুত্র চারি জম সঙ্গীর সহিত ক্রীড়া করিতেছেন, এমন সময় ওয়ালেস মনােহর হরিৎবর্ণের পবিচ্ছদে বিভূষিত ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া সেই স্থান দিয়া গমন করিতেছিলেন। গবরপুত্র তাহা সহিতে না পারিয়া ওয়ালেকে সম্বােধন করিয়া এই মর্মে বলিয়া উঠিলেন:“বে গর্বিত স্কট। এ সকল বেশভূষা -এ সকল বীরােচিত অস্ত্র শস্ত্র-দাসের যােগ্য নয়। শৃগাল হইয়া সিংহচৰ্ম্মে আবৃত হওয়া কখন সাজে না।' এই বলিয়া সে যেমন বলপূৰ্ব্বক ওয়ালেসের ছুরিকা গ্রহণ করিতে যাইবে, অমনি ওয়ালে তাহার গলদেশ ধরিয়া শাণিত তরবারি দ্বারা তদীয় দেহ দ্বিখণ্ডিত করিয়া ফেলিলেন। তাহার ছিন্ন দেহ ভূমিবিলুণ্ঠিত রহিল, এদিকে ওলেও পলায়ন করিলেন। তিনি বাল্যকালে যে পিতৃব্যের আলয়ে বাস করিতেন, একেবারে তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। পিতৃব্য-পত্নী তাহাকে এইরূপ বিপদাপন্ন দেখিয়া তাহাকে রমণীর পরিচ্ছদ পরাইয়া তুলা পিজিতে দিলেন। তাহার অনুসরণকারীরা সেই গৃহ তন্ন তন্ন করিয়াও ওয়ালেসের কোন সন্ধান না পাইয়া ভগ্নহৃদয়ে ও শােকাকুল মনে ফিরিয়া গেল। তদনন্তর তদীয় পিতৃব্য-পত্নী রজনীযােগে তাহাকে ডী নদী পার করিয়া দিলেন। পার হইয়া ওয়ালেস্ নিরাপদে কিলপিণ্ডী নগরে জননীর নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলেন। । " | এদিকে তাহার জননী ও তদীয় বন্ধুবান্ধবগণ সেই দুর্ঘটনার কথা শুনিয়া ভয়ে আকুল হইলেন। তথায় থাকিলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা বিবেচনায়, তদীয় আত্মীয় স্বজন তাহাদিগকে তথা হইতে প্রস্থান