পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের বাল্য ও যৌবন। ১৩ হইল। ভৃত্যের কাতর নেত্র সাহায্যার্থ ওয়ালেসের উপর পতিত হইল। ওয়ালেস ভাঙারপতিকে বলিলেন “মহাশয় ! কেন বাধা দেন, ইহাকে যাইতে দিউ।” এই বাক্য ভাণ্ডারাধ্যক্ষের অসহ্ন বােধ হইল। তিনি হস্তস্থিত যষ্ঠি দ্বারা তৎক্ষণাৎ ওয়ালেসের পৃষ্ঠদেশে আঘাত করিলেন। ওয়ালেস্ ক্রোধে অন্ধ হইয়া নিজ কোটিদেশ হইতে ছােরা উন্মােচন পূৰ্ব্বক ভাণ্ডারাধ্যক্ষকে শমনসদনে প্রেরণ করিলেন। অমনি চতুর্দিক্‌ হইতে ইংরাজ সৈন্য আসিয়া তাহাকে অবরুদ্ধ করিল। এই তুমুল সংঘর্ষে যদিও ওয়ালে সাতজন ইংরাজ সৈন্যকে ধলিশায়ী করিলেন, তথাপি এত লােক তাহার উপর আসিয়া পড়িল যে এবার তিনি আর সেই দুর্ভেদ্য ব্যহ ভেদ করিয়া পলায়ন করিতে পারিলেন না। অবশেষে তিনি অবসন্ন ও পর্যদস্ত হইয়া ধৃত ও আয়ারের পুরাতন কারাগারে অব রুদ্ধ হইলেন। এখানে শুদ্ধ জলাহার দিয়া তাহাকে ভূতলশায়ী করিয়া রাখা হইয়াছিল ; এইরূপে তিনি মৃতবৎ হইয়া পড়িলেন। কারাধ্যক্ষ তাহাকে মৃত মনে করিয়া কারাপ্রাচীরের উপর হইতে পার্শ্বস্থ শস্যক্ষেত্রে প্রক্ষেপ করেন। তিনি সেই অবস্থায় তথায় পড়িয়া থাকেন, এমন সময় তাহার শৈশবধাত্রী আয়ারনিবাসিনী নিউটন নাম্নী মহিলা এই সংবাদ পাইয়া তাহার আপাত মৃতদেহ দেখিতে আসেন। তিনি নিজ আবাসে সমাধিনিহিত করিবার ছলে, ওয়ালেসের সেই আপাত মৃতদেহ গৃহে লইয়া যাইবার জন্য কারাধ্যক্ষের অনুমতি গ্রহণ করেন। তথায় লইয়া গিয়া তিনি ও তদীয় দুহিতা দিন রাত্রি শুশ্রুষা করিয়া ওয়ালেসের সেই মৃত দেহে প্রাণ দান করেন। | ওয়ালেস সম্পূর্ণ আরােগ্য লাভ করিয়া অশ্ব, কধুক, ও অর্থের নিমিত্ত রিকার্টমে বৃদ্ধ পিতৃব্যের নিকট যাইতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। এ দিকে তিনি জীবনদাত্রী ধাত্রী ও তৎকন্যাকে এলালি দুর্গে জননীর নিকট প্রেরণ করিলেন। ধাত্রীর গৃহে যে এক খানি পুরাতন তরবারি ছিল, সেই তরবারি-মাত্রে সস হইয়া তিনি রিকান