পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ । ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। যাত্রা করিলেন। যাইবার সময় তিনি পথিমধ্যে গ্লাসগাে মেলা হইতে প্রত্যাবৃত্ত স্কোয়ার লঙকাস ও তদনুচরদ্বয় কর্তৃক আক্রান্ত হইলেন। লঙকাল তাহাকে বলপূর্বক আয়ারে লইয়া যাইবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। সুতরাং তিনি অগত্যা আত্মরক্ষার জন্য লঙকাসল ও ভৃত্যদ্বয়ের অন্যতরকে তরবারির আঘাতে দ্বিখণ্ডিত করিলেন। জীবিত ভৃত্য প্রাণ লইযা পলায়ন করিল। ওয়ালেস্ রিকার্টনে পিতৃব্য বৃদ্ধ রিচার্ড ও তদীয়পুত্ৰত্ৰয় কর্তৃক সাদরে পরিগৃহীত হইলেন। এদিকে তাহার আগমনবার্তা শ্রবণ কবিয়া করবি হইতে তদীয় মাতুল সার রোেড, এবং এলারসলি হইতে তদীয় জননী তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। আর তাহার ভাবী বিপদবন্ধু ববট বয়িড, পূর্বেই তথায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন। ওয়ালেসের অভাবনীয় মুক্তিতে, এবং সেই অভাবনীয় মুক্তির পর আজ ওয়ালেসকে দেখিয়া, সকলের আনন্দের আর সীমা রহিল না। সেই সময় সকলেরই নয়ন হইতে প্রবল বেগে আনন্দাশ্রু বিগলিত হইতে লাগিল। তৃতীয় অধ্যায়। স্কট-রাজ বেলিয়লের পরিণাম। বারউইক ও ডর সমর। (স্কটলণ্ডের শােচনীয় অবস্থা ) আমরা পূর্বেই বলিয়াছি, ১ম এডওয়ার্ড-বেলিয়লের স্বপক্ষ্যে স্কটিশ সিংহাসন বিধান করিলেন। তদনুসারে ১২৯২ খ্রীষ্টাব্দে ২০ শে নবেম্বর তারিখে বেলিয় শপথ গ্রহণ পূর্বক ইংলণ্ডেশ্বরের সামন্তরূপে স্কটিশ রাজ্যের অধীশ্বরত্ব প্রাপ্ত হইলেন। উক্ত মাসেরই ৩০ শে তাৰিখে তিনি স্কুন্ নগরের শিলাপটে বসিয়া মন্তকে স্কুটুলণ্ডের রাজমুকুট