পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০ । ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। শেষে স্বয়ং ওয়ালেস্ রঙ্গভূমিতে অবতীর্ণ হইলেন। তিনি এক প্রচণ্ড করাঘাতে প্রাচীরের কিয়দংশ সহ প্রাচীর-সংলগ্ন সেই অর্গল তুলিয়া ফেলিলেন। তাহার এই ভীম পরাক্রমে সকলে বিস্মিত হইল। বস্তুতঃ শারীরিক বলে আমাদিগের দেশের ভীমের সহিতই কেবল ওয়ালেসের তুলনা হইতে পারে। ক্ষণকাল পরেই তাহার প্রচণ্ড পদাঘাতে দুর্গদ্বাৰ উন্মুক্ত হইল। সেই ভীষণ শব্দে দুর্গরক্ষকদিগের নিদ্রাভঙ্গ হইল। দ্বাররক্ষক শাস্ত্রী সহসা উঠিয়াই হস্তস্থিত যষ্টিদ্বারা ওয়ালেসের মুখে আঘাত করিল। ওয়ালেস তাহার হস্ত হইতে সেই যষ্টি গ্রহণ করিয়া তাহার দ্বারা গতি-প্রহারে দ্বাররক্ষককে শমন-সদনে প্রেরণ করিলেন। তাহার পর তিনি কাপটেনকে লক্ষ্য করিলেন, এবং সেই যষ্টির আঘাতে তাহাকেও সেই দশা প্রাপিত করিলেন। তাহার বীর সহচরগণ ক্রমে তাহার সাহায্যার্থ আসিয়া উপস্থিত হইলে, দুর্গন্থ সকলেই যমালয়ে প্রেবিত হইল। ওয়ালেসের আদেশে কেহই বালক ও স্ত্রীলােকের গাত্ৰস্পর্শও করিতে পারিল না। লম্বমান সেতু তুলিয়া ওয়ালে চাবি দিন ধরিয়া সেই দুর্গে নিরাপদে অবস্থিতি করিলেন। এই দুর্গ আক্রমণ ও অধিকার এত নিভৃত রূপে অনুষ্ঠিত হইয়াছিল যে, এ কয় দিবসের মধ্যে এ সংবাদ দুর্গের বাহিরে যায় নাই। তাহাবা দুর্গপতির স্ত্রী ও পুত্রগণকে মুক্তি দিয়া—দুর্গের বহুমূল্য দ্রব্য জাত লুণ্ঠন করিয়া দুর্গের গৃহ সকলে অগ্নি প্রদান পূর্বক রাত্রিযােগে ফোর্ভ পার হইয়া অদূরবর্তী অরণ্যমধ্যে প্রবেশ করিলেন। ১৪,760 এই অরণ্যের নাম মেথবে অরণ্য। ইহা সেন্ট ও জনষ্ট পার্থ নগরের অদূরে অবস্থিতি। ওয়ালেস মৃগয়াপ্রিয় ছিলেন। তিনি এখানে আসিয়া এক তীরে একটা সুন্দর হরিণ বিদ্ধ করিলেন। এই হরিণমাংসে তিনি সহচরবৃন্দকে পৰ্যাপ্তরূপে ভোজন করাইলেন। তথায় রজনী যাপন করিয়া তিনি প্রত্যুষে একাকী গুপ্তবেশে । সেন্ট নষ্ট নগবের অভিমুখে যাত্রা করিলেন। নগরের অদূরে আসিয়া তিনি লােক দ্বারা কোটালের নিকট সংবাদ পাঠাইলেন । কোটালের অনুমতি পাইয়া তিনি নগর-দ্বারে আসিয়া উপস্থিত হই