পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের জীবনবৃত। হইবে?” এই অনুশােচনা তাহাকে দগ্ধ করিতে লাগিল। সে আর থাকিতে পারিল না, ওয়ালেসের নিকট অশ্রুজলের সহিত নিজের পাপ স্বীকার করিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করিল। ওয়ালেস্ তাহার অনুতাপ অকৃত্রিম বুঝিয়া তাহাকে ক্ষমা করিলেন; অনন্তর তাহার পরিচ্ছদ পরিধান পূর্বক রমণীবেশে দক্ষিণ তােরণদ্বার দিয়া সবেগে বহির্গত হইলেন। “ওয়ালেসকে গৃহে আবদ্ধ করিয়া আমি চলিয়া আসিতেছি, তােমরা শীঘ্র আমার গৃহে তাহাকে শৃঙ্খলিত কর” এই কথা বলিয়া ওয়ালেস অস্ত্রধারী পুরুষগণের সন্দেহ ভঞ্জন করিয়া ও তাহাদিগকে অন্য কাৰ্যে আবদ্ধ রাখিয়া দ্রুতপদে “এলকোপার্কের” অভিমুখে ধাবিত হইলেন। তাঁহার গমনে কাহারও কাহারও মনে সন্দেহ উপস্থিত হইল। তাহারা তাহার পশ্চাদ্বর্তী হইল। ওয়ালে ক্রুদ্ধ সিংহের ন্যায় ফিবিয়া তাহাদিগের অগ্রগামী দুই এক জনকে বধ করিলে, অবশিষ্টের ভয়ে পলায়ন করিল। তিনি নির্বিঘ্নে অভীক্ষিত স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ষষ্ঠ অধ্যায়। ওয়ালেসের অনুসরণ-তৎকর্তৃক ফভনের শিরচ্ছেদ। কার্লের হন্তে হেরনের পতন। গাস্ক দুর্গফডনের প্রেতমুর্তি-ওয়ালেসের খড়াঘাতে বইলারের মৃত্যু টর,উডে বিধবা রমণীর গৃহে আতিথ্য-গ্রহণ পিতৃব্যের সহিত সাক্ষাৎ ভন্ডাফে ও গিলব্যাঙ্কে গমন। ১২৯৬ খ্রীষ্টাব্দের নবেম্বর মাসের তামসী নিশিতে ওয়ালেস্ সেন্ট জনন হইতে পলাইয়া অতি কষ্টে প্রাণরক্ষা করিলেন। ওয়ালেসের পলায়ন কালে যে হুলস্থূল ব্যাপার উপস্থিত হয়, সেই অবকাশে ওয়ালেস্-প্রণয়িনী অতর্কিতভাবে অনুহিত হয়। ওয়ালেস্ নিজ