পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কার্লে ও ষ্ঠীফেনের পুনরাগমন। ৪৫ ষয়ে আমার সন্দেহ নাই।” এই বাক্য ওয়ালেসের কর্ণে অতি কর্কশ লাগিল। তিনি তৎক্ষণাৎ উত্তর করিলেন—“তিনি হয় স্কট পণ্ডে শান্তি পুনঃ স্থাপিত করিবেন, নয় সেই সাধনায় জীবন বিসর্জন দিবেন, স্কট, লও পবাধীন থাকিতে তিনি কোন সুখের প্রার্থী নহেন।” ধন্য ওয়ালে! ধন্য তােমার স্বজাতিপ্রেম! তােমার ন্যায় রাজনৈতিক সন্ন্যাসীর চরণরেণু যে দেশে পড়ে, সে দেশের চিরদাসত্বও বিদূরিত হয়। ওয়ালেসের দৃষ্টান্তের মােহিনী শক্তিতে পিতৃব্যের মত পরিবর্তিত হইল। তিনি অন্তবেব সহিত ওয়ালেসের উদার সঙ্কল্পের অনুমােদন করিলেন। তাঁহাদিগের কথােপকথন, কালে ও ষ্টিফেনের সহসা আবির্ভাবে স্থগিত হইল। দলপতি ওয়ালেকে নিরাপদে ও সুস্থ শরীরে তথায় অবস্থিত দেখিয়া তাহাদিগের আনন্দের আর ইয়তা। রহিল না। তাহারা কি উদ্দেশে ওয়ালেসের সঙ্গ পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক পথিমধ্যে লুক্কায়িত ছিলেন, এবং তাহার পব কি কি কাৰ্য্য করিয়াছেন, ওযালেসের নিকট সে সমস্ত পবিচয় দিলেন। ওয়ালেস সর্বপ্রথমে তাহাদিগের মুখেই শ্রবণ করিলেন যে, ইংরাজ সেনাপতি সার জিরার্ড তাহাদিগের শাণিত খগাগ্রের তীক্ষ বেধে প্রাণত্যাগ করিয়াছেন। যখন তাহারা সকলে এইরূপে মনের আনন্দে সেই রমণীর আবাসে বাস করিতেছেন, এমন সময় যে স্ত্রীলােকট গাঙ্ক দুর্গে প্রেরিত হইয়াছিল, সে আসিয়া উপস্থিত হইল। সে বলিতে লাগিল “দেখিয়া আসিলাম, গা দুর্গের যাইবার পথ মৃত ইংরাজসৈনিকগণের মৃতদেহে সমাচ্ছাদিত হইয়া রহিয়াছে, (পাঠকগণের স্মরণ থাকিবে, ওয়ালেস্ তদীয় অনুসরণকারিগণকে নিহত করিয়া তাহাদিগের মৃতদেহে গাঙ্ক দুগাগমন-পথ প্রেতভূমিতে পরিণত করিয়াছিলেন) দেখিলাম—উক্ত দুর্গের ও ইহার দালান সম্পূর্ণরূপে অক্ষত রহিয়াছে, তাহা একটী প্ৰস্তরও উত্তোলিত হয় নাই ; কিন্তু শৃঙ্গ রবে যে সকল লােক দূরসমাকৃষ্ট হইয়াছিল, তাহাদিগের কোন সংবাদ পাইলাম না।” এই সংবাদে ওয়ালেসের অন্তরে ফড়নের প্ৰেতমূর্তিবিষয়ক বিশ্বাস অধিকতর বদ্ধমূল হইল।