পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৪ ৫৪ । ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। শক্তি সম্পন্ন স্বজাতি-প্রেমিক বীরদলের বেগ ধারণ করে, কাহার সাধ্য ? নিমেষ-মধ্যে অসংখ্য ইংরাজ-দেহে রণস্থল সমাচ্ছাদিত হইল। এ তাড়িত-তেজ ই’রাজদিগের পক্ষে দুর্বিষহ হইয়া উঠিল। ইংরাজেরা রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিল। সেনাপতি গ্ৰেষ্ট শতজন মাত্ৰ সৈন্যে পরিবেষ্টিত হইয়া অশ্বপৃষ্ঠে পলায়ন করিল। কিন্তু সেই পলায়মান ইংরাজ-সেনাপতির সম্মুখে গ্ৰেহাম ও কার্ক প্যাটিক সবলে আনিয়া উপস্থিত হইলেন। এদিকে ওয়ালেস, বিদ্যুদণ্ডের ন্যায় প্রচণ্ড বেগে ইংরাজ-সেনার পশ্চাদ্বর্তী হইলেন। ওয়ালেস্ দূরহইতে গ্ৰেহামকে দেখিতে পাইয়া তাহাকে গ্ৰে ষ্টকে আক্রমণ করিতে তীব্র সবে আদেশ করিলেন। নিমেযমধ্যে গ্ৰেহাম ইংরাজসেনাপতির সম্মুখীন হইয়া প্রচণ্ড খঘাতে তাহার শিরচ্ছেদ করিলেন। সেনাপতির মৃত্যুতে ইংবাজ-সেনা ভয়ে বিশৃঙ্খলভাবে চতু দ্দিকে পলায়ন কবিল। অনেকেই সেই অনুসবণকারী স্কট সেনাব নিশিত অস্ত্রে ধরাশায়ী হইল। সংবাদ দিবার নিমিত্ত অতি অল্প জন মাত্রই জীবিত রহিল। যাহারা জীবিত রহিল, তাহারা উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া পলাইয়া ইংরাজ-শিবিরে গিয়া উপস্থিত হইল। যুদ্ধের অবসান হলে বিজয়ী সেনানাযকগণ পরস্পর মিলিত হইলেন। তাহাদিগের আজ আনন্দের সীমা নাই। অনেক দিনের পর মিলন, তাহাতে আবার এরূপ অভাবনীয় বিজয়লাভ! সােণার উপর সােহাগা। যুদ্ধের সময় তীব্ৰস্বরে আদেশ করায় ওয়ালেন স্বাভাবিক ঔদার্য্যের বশবর্ত্তী হইয়া গ্ৰেহামের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন। এদিকে দিনমণি অস্তাচলচূড়াবলম্বী হইলেন; এবং নিশা সতী ধীরে ধীরে গগনপ্রান্তে আসিয়া দেখা দিলেন। অতঃপর কি করা কর্তব্য, তাহাদিগের এই বিষয়ের পরামর্শ হইতে লাগল। ওয়ালেস সেই রজনীতেই লমেবেন দুর্গ আক্রমণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন ; বলিলেন—যুদ্ধে যেরূপ সেনা হত হইয়াছে, তাহাতে বােধ কয়, দুর্গ-রক্ষার নিমিত্ত অতি অল্প লােকই অবশিষ্ট আছে। সক