পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ক্রফোর্ড কাসে অধিকার। ৫৭ করিলেন। তিনি দূর হইতে গ্ৰেহামকে দুর্গাভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে সঙ্কেত করিয়াই স্বয়ং পান্থবাসের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। এওয়ার্ড লীটিল দ্বার রক্ষা করিতে লাগিল। গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়াই তিনি উপহাসচ্ছলে বলিলেন “আশীৰ্বাদ করি, আপনাদিগেব মঙ্গল হউক।” ইংবাজ সেনাপতি তাহাকে স্কট বলিযা স্থির করিয়া বলিলেন, “তুমি কে হে ? কি সাহনে তুমি আমাদিগের নির্জন প্রমােদাবাসে প্রবেশ করিলে?” সেনাপতির মুখ হইতে এই বাক্য উচ্চাবিত হইতে না হইতেই ওয়ালেসেব নিষ্কোষিত অসি প্রমােদম ও ইংবাজ-সৈনিকগণকে তাহার অভিপ্রায় জ্ঞাপন কবিল। তাহারা ক্ষণকাল বিস্মগে স্তম্ভিত হইয়া বহিলেন। মদিরা তাহাদিগেৰ কাৰ্যশক্তি হরণ করিয়াছিল ; সুতরাং ওয়ালেস্ অবাধে তাহাদিগের সকলকেই নিহত কবিলেন। দ্বাবরক্ষক লীটিও পঞ্চ নর-মুণ্ডে ধবা শােভিত করিল। এদিকে গ্ৰেহাম ওয়ালেসের আদেশানুসারে দুর্গ-দ্বারে গিয়া উপস্থিত হইলেন। দুর্গেব দ্বার রুদ্ধ দেখিয়া তিনি তাহাতে অগ্নি প্রদান করিলেন। দুর্গ-দ্বব প্রচ্ছলিত দেখিয়া ওয়ালেস সেই দিকে ধাবিত হইলেন। অচিরকাল মধ্যে দুর্গ-দ্বারের ভস্মরাশির উপব দিয়া তাহা দুর্গ-মধ্যে প্রবেশ করিলেন। দুর্গাভ্যন্তরে কেবল কয়জন-মাত্র স্ত্রীলােক ছিল,সুতরাং তাহারা অবাধে দুর্গাভ্যন্তবে বিচরণ করিতে লাগিলেন। দুর্গ-মধ্যে আহারীয় কিছুই পাওয়া গেল না ; অবশেষে পান্থাবাস হইতে খাদ্য সামগ্রী আনাইয়া কথঞ্চিৎ ক্ষুন্নিবৃত্তি কবিয়া তাহারা সে রাত্রি তথায় যাপিত করিলেন। প্রত্যুষে তাহার স্ত্রীলােকদিগকে মুক্তি-প্ৰদান কবিয়া দুর্গ-গৃহে অগ্নি-প্রদান-পূৰ্ব্বক ডডা অভিমুখে যাত্রা করিলেন। সে রাত্রি তাহারা ডনডাফে মহানন্দে যাপিত করিলেন।