পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজদিগের সহিত সংঘর্ষ। ৫৯ কাটাইতে লাগিলেন, তথাপি সে সুখের সময়েও দেশের দুর্গতির বিষয় স্মরণ হইয়া তাহার হর্যে বিষাদ উপস্থিত হইতে লাগিল। যত দিন ইংরাজেরা স্কটলণ্ডে আধিপত্য করিতেছেন, তত দিন ওয়ালেসের অন্তরে অবিমিশ্রিত সুখের আশা কোথায় ? এইরূপে হর্ষে ও বিষাদে তাহার দিন অতিবাহিত হইতেছে, ইত্যাব। সরে একদিন ওয়ালেস নগরের বহিঃস্থিত ভজনালয় হইতে প্রার্থনা শুনিয়া প্রত্যাবৃত্ত হইতেছেন। তাহাব প্রিয় বন্ধু গ্ৰেহাম তাহার সমভি ব্যাহারে ছিলেন। তাহাদিগেব উভয়ের সহিত সৰ্বশুদ্ধ চতুর্বিংশতি অনুযাত্রিক ছিল। এমন সময় হেসিৱীগ (Hesilrig) ও সার রবার্ট থরন নামক এক জন নাইট পথিমধ্যে তাহাদিগকে সবলে আক্রমণ করিলেন। ল্যামিংটনেব উত্তরাধিকারিণীর পাণিগ্রহণ করায় ওয়ালে হেসিরীগের মর্মান্তিক যাতনার কারণ হইয়াছিলেন। পাণিগ্রহণের দিন হইতেই হেসিল্রীগ ওয়ালেসেব বধ-বিষয়ে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছিলেন। এত দিন কেবল সুবিধা খুজিতেছিলেন। আজ সেই সুবিধা উপস্থিত। হেসিীগের অন্যতম সৈনিক পুরুষ বিবিধ পরিহাস দ্বারা ওয়ালেকে যুদ্ধাৰ্থ আহ্বান করিতেছিল। ওয়ালেস্ এরূপ বিজপােক্তি শুনিয়া কখন এক মুহূর্তও বিলম্ব করেন নাই। কিন্তু আজ ওয়ালেস রাজনৈতিক সন্ন্যাসী হইয়াও আশ্রমী। স্ত্রী-কন্যার মায়ায় আজ তাহার প্রাণে মায়া জন্মিয়াছে। সুতরাং তিনি সহসা জীবন দিতে অগ্রসর হইতে অনিচ্ছুক হইলেন। আজ তাহার পারৎপক্ষে বিবাদে প্রবৃত্ত হইতে ইচ্ছা হইল না। তিনি অটল অচলের ন্যায় অবিচলিত ভাবে আজ সেই বিদ্রুপ-ঝটিকা সহিতে লাগিলেন, কিন্তু যখন তাহার দেখিলেন যে, ইংরাজেরা তাহাদিগের অভিমুখে বেগে আসিতেছে, তখন আর বিলম্ব করা অনুচিত মনে করিয়া তাহার প্রচণ্ড সিংহের ম্যায় উল্লুক্ষন পূর্বকইংরাজদিগের উপর আসিয়া পড়িলেন। নিমেষমধ্যে মৃতদেহে ও রুধির-স্রোতে রণভূমি প্লাবিত হইল। কিন্তু এত ইংরাজসৈন্য আসিয়া তাহাদিগকে ঘিরিয়া ফেলিল যে, তাহাদিগকে পঞ্চাশৎ ইংরাজ-দেহ ভূতলশায়ী করিয়া ব্যুহ ভেদ পূৰ্ব্বক রণস্থল হইতে