পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। ওয়ালে এওয়ার্ডের সৈন্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ মানসে রজনীযােগে কাহাকেও কিছু না বলিয়া ছদ্মবেশে এডওয়ার্ডের শিবির-মধ্যে প্রবেশ করিলেন। সারজন টিন্টো কেবল তাহার সমভিব্যাহারে কিয়পর গমন করিয়াছিলেন। একমাত্র তিনিই কেবল ওয়ালেসেব অভিপ্রায় জানিতেন। ওয়ালে ইংরাজ সৈনিকগণের অনেক ঠাট্টা বিদ্রুপ সহিয়া শিবিরে অবস্থা পৰ্যবেক্ষণ করিয়া তথা হইতে দ্রুত পলাইয়া আসিলেন। শীঘ্র পলায়ন না করিলে, তিনি নিশ্চয়ই ধবা পড়িতেন। কারণ, কেহ কেহ তাহাকে ওয়ালেস বলিয়া সন্দেহ করিয়া পরস্পয় বলাবলি করিতেছিল। এদিকে আবার ওয়ালেস দ্রুত স্কটিশ শিবিরে ফিরিয়া না আসিলে, আর এক বিপদ ঘটিত। সারজন গ্ৰেহাম অনেক ক্ষণ ওয়ালেসকে না দেখিয়া তাহার জন্য বিশেষ উদ্বিগ্ন হইলেন। টিটোকে বিশ্বাস-ঘাতক বলিয়া তাহার মনে সন্দেহ জন্মিল। তিনি তাহাকে হস্তপদ বদ্ধ করিয়া পুড়াইতে বা ফাসিকাষ্ঠুে ঝুলাইতে আদেশ দিবার উপক্রম করিতেছেন, এমন সময় ওয়ালেস আসিয়া তথায় উপস্থিত হইলেন। ওয়ালে টিটোকে তৎক্ষণাৎ রঞ্জুমুক্ত করিতে আদেশ দিয়া, আপনার ক্ষণিক অন্তর্ধানের কারণ নির্দেশ করিলেন। গ্ৰেহাম ইহাতে সন্তুষ্ট হইলেন না। তিনি বলিলেন যে, সেনানায়কের এরূপ জীবন-সংশয়কর ব্যাপারে প্রবৃত্ত হওয়া উচিত হয় নাই। ওয়ালে উত্তর করিলেন, স্কটলণ্ডকে শক্তহস্ত হইতে মুক্ত করিতে ইহা অপেক্ষাও অধিকতর বিপজ্জনক ব্যাপারে প্রবৃত্ত হইতে হইবে।