পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮ ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। সবিশে fতনি দে, একটী প্রকy. একটী অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেন। তিনি দেখিলেন, যেন একটী পলিকেশ বৃদ্ধ আসিয়া তাহার হস্ত ধারণ করিয়া বলিলেন, ‘পুত্র! এই লও তােমার জন্য বিশাল অরিদুর্দম অসি আনিয়াছিলও। শাণিত অঙ্গের উজ্জ্বল বিভায় দশ দিক্ আলােকিত হইল। বৃদ্ধ ওয়ালেসকে একটা পর্বতের উপত্যকাভূমিতে লইয়া গিয়া অন্তর্হিত হইলেন। ওয়ালেসের নয়নদ্বয় অনেক দূর পর্যন্ত বৃদ্ধের অনুসরণ করিয়া প্রতিহত হইল। ওয়ালেস তাহার বিষয় সবিশেষ অবগত হইবার জন্য ব্যাকুল হইলেন। তিনি দেখিলেন, সম্মুখে অদূরে মেঘমালা হইতে একটী প্রকাণ্ড অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নির্গত হইয়া র হইতে সলওয়ে স্যাণ্ড পর্যন্ত সমস্ত স্কটলণ্ডে পরিব্যাপ্ত হইল। সেই অগ্নিকুণ্ড হইতে একটা হিরন্ময়ী দেবী মূর্তি আবির্ভূত হইল। দেবীর দেহকান্তিতে দশ দিক ঝলসিয়া উঠিল ; অধিক কি ভগবান বিভাবসুও নিষ্প্রভ হইলেন। দেবীমূর্তি ধীরে ধীরে ওয়ালেসের দিকে অবতরণ করিতে লাগিলেন। ওয়ালেসের নিকটে আসিয়া বলিলেন ‘বৎস! এই লােহিত-হরিত দণ্ড গ্রহণ কর ; ঈশ্বর নিপীড়িত জাতির উদ্ধার সাধনের জন্য তােমায় অধিনায়ক মনােনীত করিয়াছেন। হৃদয়ে সাহস বাধিয়া তাহার এই গুরুতর কাৰ্য্য সাধন কর। এ পৃথিবীতে তােমার পুরস্কারের আশা অল্প, কিন্তু বৈজয়ন্তী-ধামে তােমার জন্য সিংহাসন প্রস্তুত রহিয়াছে। এই কথা বলিয়া দেবী ওয়ালেসের হস্তে একখানি পুস্তক অর্পণ করিয়া যে মেঘমালা ভেদ করিয়া আবিভূত হইয়াছিলেন, সহসা শূন্যে উঠিয়া সেই মেঘমালার গর্তে বিলীন হইলেন। স্বপ্নবস্থায় ওয়ালেস পুস্তক খুলিয়া দেখিলেন পুস্তকের প্রথম ভাগ কাংস অক্ষরে, দ্বিতীয় ভাগ সুবর্ণ অক্ষবে, ও তৃতীয় ভাগ রজত অক্ষরে লিখিত। লেখা পড়িতে চেষ্টা করায় ওয়ালেসের নিদ্রাভঙ্গ'হইল ! তিনি সহসা কাষ্ঠাসন হইতে উঠিয়া গির্জার বাহিরে গেলেন। এবং পাদরীর নিকটে এই স্বপ্নবৃত্তান্ত আমূল বর্ণন করিলেন। যাজকবর যথাসাধ্য ইহার রহস্য ভেদ করিতে চেষ্টা করিলেন। বলিলেন, “ঋষিবর সেন্ট অনড় তােমায় ঐ খড়া প্রদান করেন। যে পর্বতসমীপে তােমায়