পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বপ্নব্যাখ্যা। ৬৯ লইয়া যান, উহা স্তুপীকৃত অত্যাচাৰ-রাশি। তােমাকে ঐ অত্যাচাররাশির প্রতিশােধ লইতে অনুরােধ করিয়াছেন। ঐ অগ্নি-টুণ্ডের অমঙ্গলের পরিসূচক। ঐ রমণী স্বয়ং কুমারী মেরী। ঐ দণ্ড দ্বারা তােমায় স্কটলও শাসন ও শত্রুদমন করিতে হইবে। দণ্ডের লােহিত বর্ণে যুদ্ধ ও রক্তপাত ব্যঞ্জিত হইতেছে। ঐ ত্রিধাবিভক্ত পুস্তক তােমার বিখণ্ডিত দেশ সূচনা করিয়া দিতেছে। দেবী এই পুস্তক তােমার হস্তে দিয়া এই ছিন্ন ভিন্ন দেশের একীকরণ ও উদ্ধারের ভার তােমাৰ স্কন্ধে অৰ্পণ কবিয়াছেন। কাংস্য অক্ষর অত্যাচাবের, সুবর্ণ অক্ষর গৌরব ও অত্যাচারের, এবং রজত অক্ষর পবিত্র জীবন ও স্বর্গীয় সুখের পরিসূচক”। এই স্বপ্ন-ঘটনায় ওয়ালেসের মন গুরুতর দায়িত্বে ও গুরুতর ভাবনায় অভিভূত হইল। ওয়ালেস মঙ্কটন গির্জা হইতে খুল্লতাত-সমভিব্যাহারে করস বীর অভিমুখে যাত্রা করিলেন, এবং সেখানে রজনী যাপন করিয়া পর দিন প্রাতে আয়ার নগরাভিমুখে যাত্রা কুরিলেন। তাহাবা অশ্বারােহণে কিংসকে চিকিৎসালয় পর্যন্ত গিয়াছেন, এমন সময়ে সন্ধিপত্রের কথা ওয়ালেসের মনে পড়িল। ইংরাজদিগের প্রতি বিশ্বাস ছিল না, এই জন্য তিনি সন্ধিপত্র খানি সঙ্গে রাখা কর্তব্য মনে করিয়াছিলেন। সেই সন্ধিপত্র কসবীতে অতি গৃঢ় স্থানে পরিক্ষিত ছিল। ওয়ালেস্ ও তাহাব খুল্লতাত সার রেনাল্ড ভিন্ন আব কেহ তাহা জানিত না। সুতরাং ওয়ালেস্ স্বয়ং তিন জন সহচব-সমভিব্যাহারে করলবীর অভিমুখে প্রতিযাত্রা কবিলেন। সাব বেনাল্ডেব মনে কোন ভাবী অমঙ্গলের আশঙ্কা হয় নাই। এই জন্য তিনি ওয়ালেসের অপেক্ষা না করিয়া, একাকীই আয়ারের সভাভিমুখে যাত্রা করিলেন। আয়ারে এডওয়ার্ডের সৈন্যগণের সুখবাস জন্য একটী বাবিক বা সৈন্যাবাস প্রতিষ্ঠাপিত হয়। সেই সৈন্যাবাসেই সভার অধিষ্ঠান হয়। সার রেনাল্ড সর্ব প্রথমে সেই সভায় প্রবেশ করেন। ইংরাজেরা তাহা দিগের ধ্বংসের জন্য একটী ফাঁদ পাতিয়া রাখিয়াছিলেন। সার রেনাল্ড যেমন প্রবেশ করিয়াছেন, অমনি একটী দড়ির ফাস আসিয়া --