পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬ ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। তাঁহার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ সৈন্য পাঠাইবার জন্য ওয়ালেসকে অনুরােধ করিলেন। কিন্তু ওয়ালেস্ তাহা না করিয়া প্রথমে তাঁহাকে বলিয়া পাঠাইলেন “যে যদি তিনি পূৰ্ব্বকৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন, এবং ভবিষ্যতে বিশ্বাস রাখিবেন বলিয়া প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েন তাহা হইলে এবার তাহাকে ক্ষমা করা যাইবে।” এই কথা শুনিয়া কপ্যাটি হাসিয়া উঠিলেন, এবং প্রত্যুত্তরে দূতকে বলিলেন ‘তােমাদের বুননা রাজাকে গিয়া বলিও যে, কপ্যাটি ক জীবন থাকিতে তাহার অধীনতা স্বীকার করিবে না, এবং আপন রাজ্যে রাজত্ব করিতেও ভীত হইবে না। এই দৃপ্ত ব্যবহারে সমস্ত জাতীয় সভা কসপ্যাট্রিকের বিরুদ্ধে ক্রোধ-প্রদীপ্ত হইয়া উঠিলেন। ক্রোধে ওয়ালেসের নয়ন দিয়া অগ্নি-কণা বাহির হইতে লাগিল। তিনি প্রতিজ্ঞা কবিলেন, কপ্যাটিক ও তিনি—উভয়ে স্কটলণ্ডে রাজত্ব করিতে পারেন না। এই প্রতিজ্ঞা করিয়া তিমি মত্ত মাতঙ্গের ন্যায় সভাগৃহ হইতে বহির্গত হইলেন। ওয়ালেসের যে প্রতিজ্ঞা, সেইই কাৰ্য। তিনি তৎক্ষণাৎ দুই শত অশ্বারােহী সৈন্য লইয়া ডনবারাভিমুখে যাত্রা করিলেন। পথে তাহার সৈন্য দ্বিগুণিত হইল। আর প্যাটিক নয় শত সৈন্য লইয়া সেই প্রবাহিনীর গতিরােধ করিতে উদ্যত হইলেন। কিন্তু সেই দুর্নিবার প্রবাহিনী তৃণরাশির ন্যায় প্যাটিকের সৈন্য ভেদ করিয়া ডনবার দুর্গের দ্বারে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। যে বেগে আসিলেন, সেই বেগেই দুর্গ অধিকার করিয়া লিটনের হস্তে তাহার বক্ষার ভার অর্পণ করিলেন। এ দিকে কপ্যাটিক প্রাণভয়ে দুর্গ ফেলিয়া ইংলণ্ডাভিমুখে পলায়ন করিতে ছিলেন। ওয়ালেস্ তিন শত মাত্র অনুযাত্রিক সমভিব্যাহারে হার অনুসরণ করিলেন এবং তাহাকে কুমিক তাড়াইয়া এটিক নামক অরণ্য পৰ্য্যন্ত লইয়া গেলেন। অবশেষে আর অনুসরণ অনাবশ্যক মমে করিয়া তিনি ফিরিলেন। এ দিকে পলায়ন পর সামন্ত-দলের সহিত ব্রুস ও বিস” বেক