পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা স্থাপন। ৮১ দিগকে সৰ্ব্বদা উপস্থিত থাকিতে হইত না, পরন্তু আপন আপন দলপতির অধীনে থাকিয়া যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা করিতে হইত এবং আহূত হইলেই জাতীয় পতাকামূলে আসিয়া দাড়াইতে হইত। ওয়ালেস ও তদীয় সহকারী মরে (Murray) এইরূপে জাতীয় সেনার প্রতিষ্ঠা করিয়া পরে জাতীয় বাণিজ্যের উন্নতিসাধনে মনােনিকেশ করিলেন। ওয়ালে যে শুদ্ধ অসাধারণ বীর ছিলেন এরূপ নহে, রাজ্যের আভ্যন্তরীণ সমৃদ্ধিসাধন ও শৃঙ্খলাস্থাপনেও তিনি সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন। তাহাবা হামবদা ও লুবেক নগরের সহিত স্বাধীন বাণিজ্যবিষয়ক সন্ধি সংস্থাপন করিলেন। সেই সন্ধিপত্রে ওয়ালেসের রাজনীতিজ্ঞতার সবিশেষ পরিচয় পাওয়া যায় । ওয়ালেস্ এখন প্রভুত্বের চরম সীমায় উপনীত। অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রভু লাভ করিয়াও তিনি নিজে সৰ্বভােগবিবর্জিত রাজনৈতিক-সন্ন্যাসী ছিলেন। “আদানং হি বিসৰ্গায়” * পবের নিকট হইতে অর্থ সংগ্রহ করা কেবল দানের নিমিত্ত। এই নীতি অনুবী হইয়া সেই বীরসন্ন্যাসী বিজয়-লব্ধ ভূমি ও সম্পত্তি সমস্তই অনুচরবর্গকে দান করিলেন ; এবং রাজ্যের সমস্ত উচ্চপদে তাহাদিগকে অভিষিক্ত করিলেন। যাহারা স্বদেশের উদ্ধার ব্রতে জীবন আহুতি দিবার জন্য তাহার পতাকামূলে আসিয়া দাড়াইয়াছিলেন, সেই অনুচরবর্গকে তিনি প্রাণাপেক্ষও ভালবাসিতেন। তাই আজ তিনি তাহার আয়ত্তাধীনে যাহা কিছু ছিল, সমস্ত তাহাদিগকে দিয়া তাহার হৃদয়কে পরিতৃপ্ত কবিলেন। তিনি নিজের আত্মীয় স্বজনকে কপর্দকমাত্রও দান করেন নাই, বা সামান্য পদও প্রদান করেন নাই। কারণ তাহার নিক্ষের বা আত্মীয় স্বজনের আর্থিক উন্নতিসাধন তাহার জীবনের লক্ষ্য ছিল না। তিনি নিজে সৰ্বত্যাগী ছিলেন এবং আত্মীয় স্বজনকেও সৰ্ব্বত্যাগী হইয়া জাতীয় এতে জীবন উৎসর্গ করিতে বলিতেন। • তিনি ইচ্ছা করিলে এ সময় অনায়াসেই স্কটলণ্ডের সিংহাসন অধি কার করিতে পারিতেন। কারণ তাহার ইচ্ছার গতি রােধ করিতে সমর্থ এরূপ লােক তৎকালে স্কটলণ্ডে কেহই ছিল না। কিন্তু