পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালৈসের জীবনবৃত্ত। তিনি ইরাজবন্দী স্কটলণ্ডেশ্বর বেলিয়লের রাজামুকুট স্কটিশ সিংহাসনের উপর রাখিয়া তাহার প্রতিনিধিরূপে কাৰ্য্য করতেন-ইচ্ছা ছিল বেলিসুলকে ইংরাজ-করবল হইতে উদ্ধার করিয়া স্কটিশ সিংহাসনে বসাইয়া নিজে কুটীরবাণী হইবেন। স্বাভদয়স্পৃহা ওয়ালেসের হৃদয়কে কখন কলুষিত করে নাই। তথাপি “দ্বিষন্তি মন্দাশ্চরিতং মহাত্মনাম্।” মন্দ লােকে মহাত্মগণের চরিত্রে দ্বেষ করিয়া থাকে। অধিক কি বীরবর ও ওয়ালেসের দেববাচিত চরিত্রে সন্দিহান হইয়া বিপক্ষপক্ষের সহিত মিলিত হইয়াছিলেন। পরস্পরের বিশ্বাসের অভাবই জাতীয় পতনের মূল। সেইরূপ পরস্পরের প্রতি পরস্পরের অবিচলিত বিশ্বাসই জাতীয় অ্যুদয়ের অদ্বিতীয় উপাদান। তাহার অভাবেই কাজ ভারতের এ দুর্গতি। একাদশ অধ্যায়। ওয়ালেস্ কর্তৃক ইংলণ্ড আক্রমণ। ১২৯৭ খ্রীষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে সংবাদ আসিল, এডওয়ার্ড কস্প্যাটিকের পরামর্শানুসারে স্কুট লণ্ডের দ্বিতীয় আক্রমণে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছেন। এই সংবাদ পাইবামাত্র ওয়ালে সামন্তবর্গ ও অনুযাত্রিক ”গের একটী সভা আহ্বান কবিলেন। তাহার আহ্বানে রসলিন মুরে চল্লিশ সহস্র লােক সমবেত হইল। তিনি সামন্তবর্গকে আহ্বান করিয়া বলিলেন –‘এওয়ার্ড স্কটলতের পুনরা কমণে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছেন, সুতরাং আমিও প্রতিজ্ঞা করিতেছি যে, দেহে প্রাণ থাকিতে। আমি তাহাকে কৃতকাৰ্য্য হইতে দিব না।' সামন্তবর্গ একবাক্যে ও মহোৎসাহে তাহার সঙ্কল্পের সহায়তা করিতে স্বীকৃত হইলেন সম বেত চল্লিশ সহস্র হইতে তিনি বিশ সহস্র লােক বাছিয়া লইলেন। স্বহারা অস্ত্র শস্ত্রে সুসজ্জিত ও জাতীয় কাৰ্যে গৃহীত ব্রত, তিনি সেই সকল লােকই নিৰ্বাচিত করিলেন। অবশিষ্ট বিংশ সহস্র লোেককে। - - -