পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের ইংলণ্ড যাত্রা। ৮৫ দুর্গ ভাঙ্গিয়া ভূমিসাৎ করিলেন; এবং পরে অসংখ্য শকটে লুণ্ঠিত রত্নরাজি ও দ্রব্যসামগ্রী লইয়া নিজ শিবিরে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন। ফিরিয়া আসিয়া তিনি আপনাদিগকে হঠাক্রমণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য নিজ সেনানিবেশের চতুর্দিকে প্রাকারাবলী নির্মিত করিলেন। ইহাতে এডওয়ার্ড স্পষ্ট বুঝিলেন যে ওয়ালেস শীঘ্র ইংলণ্ড পরিত্যাগ করিয়া যাইতে ইচ্ছুক নহেন। এডওয়াডের মনে এখন ভয়ের সঞ্চার হইল। তিনি পমফুেটনগরে পলে মেন্ট সভা আহ্বান করি। লেন; কিন্তু লডেরা বলিলেন যে যতক্ষণ ওয়ালেস স্কট লণ্ডের মুকুট পরিধান না করিতেছেন, ততক্ষণ তাহারা ওযালেসের সহিত তাহাকে যুদ্ধ করিতে দিবেন না। পালেমেন্টের এই মন্তব্য জানাইবার জন্য স্কটিশ শিবিরে দূত প্রেরিত হইল। এই বিষয়ের শেষ নিষ্পত্তির জন্য ক্যাম্বেল-প্রমুখ স্কটিশ বীরবৃন্দ ওয়ালেসূকে রাজমুকুট ধারণ করিবার জন্য অনুরােধ করিলেন। তিনি দৃঢ়তার সহিত এ প্রস্তাবে অসম্মতি প্রকাশ করিলেন। অবশেষে আরল, ম্যাকমের পরামর্শানুসারে এড়ওয়াডের আপত্তি মিটাইবার নিমিত্ত এক দিনের জন্য আপনাকে স্কটলণ্ডের রাজা বলিয়া ডাকিতে অনুমতি দিলেন। তথাপি ইংরাজেরা প্রকাশ্য যুদ্ধে ওয়ালেসের সম্মুখীন হইতে সাহসী হইলেন না। তাহারা স্থির করিলেন যে পরিক্ষিত নগরগুলি রক্ষা করিবেন এবং সমস্ত বাজার বন্ধ কষি ওয়ালেসের সেনার রসদ বন্ধ করিবেন। তাহাদিগের এ চেষ্টা বিফল হইল। ওয়ালেস সন্ধিকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পরও পাচ দিবস অপেক্ষা করিলেন, তথাপি ইংরাজসেনার দর্শন না , পাইয়া নিজ পতাকা উড়ডীন করিলেন; এবং এডওয়ার্ডকে অযােগ্য রাজা বলিয়া ঘােষণা করিলেন। তিনি নর্দালা টন্ নগর দগ্ধ করিয়া শস্যক্ষেত্র সকল নষ্ট করিতে করিতে ইয়র্ক সায়ারের ভিতর দিয়া গমন করিতে লাগিলেন। তদীয় সেনা ধৰ্মালয় ও স্ত্রী বালক ব্যতীত আর কিছুই ছাড়িয়া যায় নাই। ক্রমে সেই দুর্দমনীয় সেনা,ইয়র্ক নগরের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। ইয়র্ক নগর দুর্গদ্বারা দৃঢ়তররূপে সুরক্ষিত এবং অসংখ্য সেনা -