পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের ইংলণ্ড-যাত্রা। ৮১ হস্তে তিনি উৎকৃষ্ট ইস্পাত-নির্মিত দণ্ড ধারণ করিলেন। দেখিয়া বােধ হইল, যেন ভীম আবার ধরাতলে অবতীর্ণ। ওয়ালেস চন্দ্রাতপতলে এইরূপ ভাবে রাজ-মহিষীর আগমন প্রতীক্ষা করিতেছেন, এমন সময় রাজমহিষী, পঞ্চাশৎ সম্ভ্রান্ত রমণী, ও সপ্ত বৃদ্ধ যাজক পরিবেষ্টিত হইয়া অশ্ব-পৃষ্ঠে স্কটিশ শিবিরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। যেখানে সেই বীরকেশরী বসিয়া ছিলেন, তাঁহারা একেবারে সেই চন্দ্রাতপ-সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সেই বীরের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া রাণী অনতিবিলম্বে অশ্ব-পৃষ্ঠ হইতে নামিয়াই নতজানু হইয়া বীরের পূজা করিতে যাইতেছিলেন, কিন্তু আর ম্যালকম তাহাকে তাহা করিতে নিষেধ করিলেন। ওয়ালেস্ রাণীব হস্ত ধাবণ কবিয়া তাহার মুকুট চুম্বন করিলেন। তাহাদিগের মধ্যে রাজ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক কথােপকথন হইল। মধ্যাহ-ভােজনের পর দরবার হইল। রাণী ওয়ালেসূকে কত প্রকারে ভুলাইবার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু কিছুতেই তাহাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করিতে পারিলেন না। অনুকূল সন্ধি প্রাপ্তির আশায় শেষে সুবর্ণের প্রলােভন পৰ্যন্ত প্রদত্ত হইল, কিন্তু তাহাও বিফল হইল । স্বদেশের জন্য উৎসর্গীকৃতপ্রাণ স্বজাতি-প্রেমিকের নিকট রমণীর ইন্দ্রজাল ও সুবর্ণ মাণিক্যাদি দুইই নিস্ফল হইয়া থাকে। ওয়ালেস স্ত্রীলােকের সহিত সন্ধি-সূত্রে আবদ্ধ হইতে অস্বীকার করিলেন। তবে এইমাত্র স্বীকার করিলেন যে, এড়ওয়ার্ডের নিকট হইতে সন্ধির প্রস্তাব লইয়া দূতগণ আসিলে তিনি তাহাদিগকে রক্ষা কবিবেন এবং যদি সম্ভব হয়, তাহার প্রস্তাবে সম্মত হইবেন। এডওয়ার্ড এক্ষণে ফাণ্ডার্সে যুদ্ধে ব্যাপৃত ছিলেন, শীঘ্র আসিবার সম্ভাব্রনা ছিল না। সুতরাং রাণী অগত্যা ইহাতেই সন্তুষ্ট হইয়া চলিয়া • গেলেন। সেন্ট আলবানের সন্ধি। স্কটের সেন্ট আলবানেই অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। ইত্যসরে এওয়ার্ডের দূতগণ সন্ধির প্রস্তাব লইয়া আসিল। সরি