পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত ছিল, তাহা কাড়িয়া লইয়া তাহাকে নিরস্ত্র করিলেন; এবং তাহাকে শপথ করাইলেন, যে সে যেন কখন তাহার ক্ষতি করিতে চেষ্টা না করে। এদিকে রীভারের লােকেরা ক্রমাগত গুলিগােলা বর্ষণ করিতেছিল। ওয়ালেসের আদেশে রীভার তাহাদিগকে নিবারণ করিল। উভয় দলে এক্ষণে শান্তি বিরাজিত হইল। টমাস ওয়ালেকে রচেল পর্যন্ত রাখিয়া আসিতে চাহিল। ইংরাজদিগের আক্রমণ-ভয়ে ওয়ালেস্ তাহাতে সম্মত হইলেন। পথিমধ্যে পরস্পরের আত্ম-পরিচয় হইল। টমাস্ আত্ম-পরিচয় দিয়া বলিল ‘এ যাবৎ কাল আমায় কেহ পরাজয় করিতে পারে নাই। আমার বিশ্বাস স্কটলণ্ডের উদ্ধারকর্তা ওয়ালেস আমার গ্রহীতা'। টমাস যখন জানিল যে তাহার বিশ্বাস সমূলক, তখন নতজানু হইয়া স্কুট, কাণ্ড ও ওয়ালেসের কাৰ্যে জীবন উৎসর্গ করিতে প্রতিশ্রুত হইল। ওয়ালেন তাহার হস্ত ধারণ করিয়া তুলিয়া ফরাশিরাজের নিকট তাহার জন্য ক্ষমা ভিক্ষা করিবেন, প্রতিশ্রুত হইলেন। লােহিত রীভাবেব নামে তৎকালে লােকে ভয়ে কম্পান্বিত হইত। যৎকালে সমবেত তরিরাজি রচেল বন্দরের সমীপবর্তিনী হইল, তখন নগরবাসীব। রীভাবের জাহাজগুলি চিনিতে পারিয়া অতিশয় ভীত হইল এবং আক্রমণ প্রতিহত করিতে বা পলায়ন করিতে সকলকে প্রস্তুত হইবাব নিমিত্ত রণবাদ্য বাজাইতে লাগিল। ইহা দেখিয়া ওয়ালেস্ আদেশ করিলেন যে, তাঁহার জাহাজ ভিন্ন অন্য কোন জাহাজ বন্দরে প্রবিষ্ট হইতে পারিবে না। ওয়ালেসের পতাকায় স্কট লণ্ডের লােহিত সিংহ, অঙ্কিত ছিল। সেই চিহ্ন দেখিয়া সকলেই অনুমান করিল, স্কটলণ্ডের লােক আসিয়াছে। ফ্রান্স তৎকালে স্কটলণ্ডের সঙ্গে সখ্যসূত্রে আবদ্ধ 'ছিল, এই জন্য জাহাজের যাত্রিগণকে সাদরে গ্রহণ করিল। তাহারা জানিত না যে স্কটিশ গবর্ণর স্বয়ং ওয়ালেস্ তাহাদিগের অতিথি। তথাপি তাহা দিগের অতিথি সৎকারের কোন ত্রুটি হয় নাই। ওয়ালেস্ টমাস্ ও অন্যান্ত অনুযাত্রিকুবর্গকে সঙ্গে লইয়া রাজধানীর অভিমুখে যাত্রা