পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$o কঃ পন্থাঃ । o মামুষের উপর ঐ সকলের অধিকার কেমন দৃঢ়, ঐ গুলির দমন, বিনাশ বা পরিহার • কত কঠিন তাহাও সকলে জানেন । ঐ গুলিকে পরিহার বা দমিত করিবার কত চেষ্টা বিফল হইয় থাকে তাহাও বোধ হয় অনেকে লক্ষ্য করিয়াছেন । ইহা মানুষের জীবধৰ্ম্ম । আবার মানুষ যে সকল পদার্থে প্ররিবেষ্টিত, মানুষকে যে সকল পদার্থ লইযা থাকিতে হয়, মানুষকে যাহা খাইতে, পরিতে, দেখিতে, শুনিতে হয় সে সকলই মোহবৰ্দ্ধক, ভোগাসক্তিৰদ্ধক, ইন্দ্রিযপরায়ণতাবৰ্দ্ধক, ইত্যাদি। অতএব ভিতর বাহির দুই দিক হইতেই মানুষ পার্থিবতার বিষম আকর্ষণে আকৃষ্ট, পৃথিবীর মোহে আচ্ছন্ন ও অভিভূত। এমন যে মানুষ অদ্বৈতবাদানুসারে তাহার মর্ত্য জীবনের সর্বপ্রধান কাজ, আপনাকে কামনা, বাসনা, মোহ, ভোগাসক্তি প্রভৃতি জীবলক্ষণ পরিশুষ্ঠ ব্ৰহ্ম ৰ সচ্চিদানন্দ করিয়া তোলা, অর্থাৎ, জীব ও ব্রহ্মের মধ্যে যে বিশাল ব্ৰহ্মাণ্ডাধিকপরিমিত ব্যৰধান তাহা বিনষ্ট বিলুপ্ত করা । সে ব্যবধান অসীম বলিলেই হয় । সেই অসীম ব্যৰধান বিনাশ করিতে যে সময় আবশ্যক তাহাও এক রকম অসীম—যে সংযম, আত্মশাসন, সাধনা আবশ্যক তাহাও এক ৱকম অসীম । ষে সময় আবশ্যক তাহাতে কত বর্ষ কত জন্মক্ষত যুগ চলিয়া যাইতে পারে তাহ নির্ণয় কর ”স্বীয় না । যে সংযম, যে আত্মশাসন, যে সাধনা আবশ্যক তাছা কত কষ্টকর, কত কঠিন, কত কঠোর হওয়া আবশ্বক .