পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঃ পন্থাঃ । > * হইবে, সমস্ত ইন্দ্রিয়াদি যথোপযুক্তরূপে দমন করিয়া ভোগস্পুহ, বিষয়তৃষ্ণ প্রভৃতি উপশমিত করিতে হইবে, জীৰধৰ্ম্মমূলক সমস্ত কাৰ্য্য—স্নান, পান, ভোজন, বিহাক, বিলাস, শয়ন প্রভৃতি সমস্ত কাৰ্য্য—পরকাল সাধনের অন্তবায় না হইয়া অনুকূল হয় এমন করিয়া সম্পন্ন করিতে হইবে । নহিলে জীবধৰ্ম্মমূলক কাৰ্য্য মানুষকে পরকাল ভুলাইয়া দিবে, পরকাল সাধনার বিষম ব্যাঘাত ঘটাইবে । আর মানুষ এই প্রণালীতে ইহকাল যাপন ও পার্থিব সুখ সম্ভোগ করিতে অক্ষম না হয় এই উদ্দেশ্যে হিন্দু ধৰ্ম্মশাস্ত্রে ব্ৰহ্ম ভগবান বা ধৰ্ম্ম ছাড অপর সমস্ত পদার্থের অসারতা অকিঞ্চিৎকরত ও অনিত্যতার কথা এত অধিক ও সুন্দর প্রণালীতে কথিত হইযৗছে যে হিন্দু পার্থিব পদার্থকে অসার অনিত্য ও অকিঞ্চিৎকর বুঝিযা বৰ্ত্তমান ইউরোপের স্যায় উহার অনুধাবনায় সমস্ত শারীরিকু ও মানসিক শক্তি নিয়োজিত করিতে, অনিচ্ছুক হইয়াছে। হিন্দুশাস্ত্রে পরকালের যেরূপ উচ্চ কল্পনাতীত প্রকৃতি নিৰ্দ্ধারিত হুইয়াছে জীবন যাত্রার নিমিত্ত সেইরূপ দীর্ঘ দুরূহ পথও নির্দিষ্ট হইয়াছে। সেই পথে চলিয়া চলিয়া উহা হিন্দুর এত প্রিয় ও প্রীতিকর হইয়াছে যে এখন অনেকে বলিযা থাকেন যে ও পথের এত পক্ষপাতী না হওয়াই হিন্দুর পক্ষে শ্রেয় - ছিল । ও পথের এত পক্ষপাতী হইয়া হিন্দু পার্থিব স্থখ সম্পদ - শক্তি সাম্রাজ্য স্বাধীনতা সমস্ত হারাইয়।