পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 B து কঃ পন্থীঃ । শীতল হইয়া আসিল, ঈষৎ রক্তাভ রৌদ্র একটু বিমর্ষ হইয়া পডিল, সুদীর্ঘ শকটশ্রেণী ফেন কিছু কষ্টে পাহাড় পরিবেষ্টিত তুরঙ্গায়িত মালভূমি কাটিয়া চলিতে লাগিল তখন মনে হইল একটা পার্থীর চোখের সহিত আলাপ কবিয একটু অন্যমনস্ক হই না কেন । চুকটের বাক্স খুলিযাই দেখি, একফেঁটা কাগজে একটা অপূর্ব নাবী মূৰ্ত্তি। তখন বঙ্গেব বালক মহলে আজ কাল পাখীর চোখের যে বিষম উপন্দ্ৰৰ হইযাছে তাহাব একটা তথ্য বুঝিলাম,আব বুঝিলাম টাকার জন্য ইউরোপ অবাধে অকুষ্ঠিত ভাবে মহোল্লাস সহকারে মনুষ্য মধ্যে ঘোর দুষ্প্রবৃত্তি উত্তেজিত কবিয বেডাইতেছেন। ইউরোপের দুষ্কৃতির অতি সামান্য নিদর্শনেব উল্লেখ কবিলাম তদপেক্ষা ভীষণ নিদর্শন খুজিলেই পাওয যায়। কিন্তু খুজিতে প্রবৃত্তি হয না । ইউবোপ উন্নত না অবনত ? আর এক কথা । পার্থিব পথকে মুখ্য পথ করিলে পৃথিবীকে সামলাইযা উঠা যায় না। পৃথিবীতে থাকিতে হইলে পার্থিব পথ একবারে পরিহার করা অসম্ভব। মানুষের খাদ্য আবশ্যক, পরিচ্ছদ আবশ্যক,বাসগৃহ আবশ্যক, ইত্যাদি । এই সমস্তেরনিমিত্ত যাহা যাহা করিবার প্রযোজন তাহা করিলে , মানুষের উন্নতি হয, না করিলে অবনতি হয । ঐ নদীর পরপারস্থ গ্রাম হইতে চাল না আনিলে তোমার খাওয় হয় না । সাতারিয়া নদী পার হইতে প্রাণহানির সস্তাবনা ।