পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঃ পন্থাঃ । 参 শাস্ত্রেরই এক মত । অতএব ভাবত ইহকালকে পরকালের অধীন করিয়া ধৰ্ম্মশাস্ত্রানুসারে ঠিক পথ ধরিয়াছেন, পরকালকে ইহকালেব অধীন কবিয়া ইউরোপ ঠিক পথ ছাড়িযাছেন। কিন্তু পরকালের গুরুত্ব সম্বন্ধে সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রের~ মত এক হইলেও, উহার প্রকৃতি সম্বন্ধে সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রের মত এক নহে । কোন শাস্ত্রের কি মত, অবগত হওয়া আৰষ্ঠক । কারণ পরকালের প্রকৃতি ভেদে পথের প্রভেদ হওয়া সম্ভব। যদি দুই জনের মধ্যে একজনকে মরিয়া পিশাচ হইতে হয়, আর একজনকে মরিয়া দেবত হইতে হয়, তাহা হইলে পরকালের নিমিত্ত দুইজনের এক পথে চলিৰার প্রযোজন হয না । হিন্দুদিগের পরকালের প্রকৃতি বিৰেচনায় তাহাদের জীবন যাত্রার পথ কিরাপ হওয়া অাৰশুক অগ্রে তাহাই দেখিব । মোটামুটি বলিতে গেলে দুইটা মতানুসারে হিন্দুদিগের পরকাল সম্বন্ধে শেষ কথা নির্ণত হয়—অদ্বৈতবাদ ও দ্বৈতবাদ । অদ্বৈতবাদীরা বলেন যে মানুষকে জীবষণা বিনষ্ট করিয়া ব্রহ্মে পরিণত বা ব্ৰহ্মরূপে প্রকাশিত হইতে হইবে । এই প্রকাশ বা পরিণতির অর্থ-জীৰেঞ্জ বিশাল জড়ত্ব এবং সেই জড়ত্ব হইতে উদ্ভূত বিষম মোছ ভোগাসক্তি প্রভৃতির বিনাশ হেতু ব্ৰহ্মত্বের বিকাশ ৷ মেছ, ভোগাসক্তি, ইশ্রিয়পরায়ণত, পার্থিবতাপ্রিয়ঙ্গ প্রভৃঙি কাছাকে বলে, সকলেই জানেন । ঐ গুলি ৰুক্ত প্রবল,