পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কজ্জলী

 ভরসাই বা কই? আরব্য উপন্যাসে পড়েছিলুম একটা দৈত্য এক রাজকন্যাকে সিন্দুকে পুরে মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াত। দৈত্যটা ঘুমুলে রাজকন্যা তার বুকের ওপর একটা ঢিল রেখে দিয়ে যত রাজ্যের রাজপুত্তর জুটিয়ে আংটি, আদায় করতেন। ভাবলুম এইবার সেরেছে রে! এই মেমসায়েব দু-দুটো দৈত্যের ঘাড়ে চ'ড়ে বেড়াচ্ছে, এখনই নিরনব্বই আংটির মালা বার করবে।

 যা ভয় করছিলুম ঠিক তাই। আমার হাতে একটা রুপো আর তামার তারে জড়ানো পলা-বসানো আংটি ছিল। মেম হঠাৎ সেটাকে দেখে বললে- - হাউ লভ্‌লি! দেখি বাবু কি রকম আংটি।

 আমি ভয়ে ভয়ে হাতটি এগিয়ে দিলুম, যেন আঙুল হাড়া অস্তর করাচ্ছি। মেম ফস করে আংটিটি খুলে নিয়ে নিজের আঙুলে পরিয়ে বললেন বিউচিফুঃ!

 হরে রাম! এ যে আমার ত্রিসন্ধ্যা জপ করার আংটি,—হায় হায়, এই ম্লেচ্ছ মাগী সেটাকে অপবিত্র ক'রে দিলে! আমার চোখ ছলছল ক'রে উঠল, কিন্তু কৌতুহলও খুব হ’ল। বললুম – মেমসায়েব, আপ্‌কা আর কয়ঠো আংটি হ্যায়? নাইণ্টিনাইন?

১২০