পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কজ্জলী

 ইন্দ্র কহিলেন— ‘হুঁ, তার ভারি তেজ হইয়াছে।’

 দেবর্ষি নারদ কহিলেন— ‘মর্ত্যের কবিগণই স্তুতি করিয়া তাহার মস্তকটি ভক্ষণ করিয়াছেন। এখন কিছুকাল তাহাকে বিরাম দাও, দিনকতক অমরাবতীতে আবদ্ধ থাকিলে আপনিই সে মর্ত্যলোকে যাইবার জন্য আবদার ধরিবে। জাবালির জন্য অন্য কোনও অপ্সরা পাঠাও।’

 মাতলি বলিলেন— ‘মেনকা তার কন্যাকে দেখিতে গিয়াছে। তিলোত্তমাকে অশ্বিনীকুমারদ্বয় এখনও তিন মাস বাহির হইতে দিবেন না। অলম্বুষার পা মচকাইয়াছে, নাচিতে পারিবে না। অষ্টাবক্র মুনি দেবগণের উপর বিমুখ হইয়া বাঁকিয়া বসিয়াছেন, রম্ভা তাঁহাকে সিধা করিতে গিয়াছে। নাগদত্তা হেমা সোমা প্রভৃতি তিন শত অপ্সরাকে লঙ্কেশ্বর রাবণ অপহরণ করিয়াছেন। বাকী আছে কেবল মিশ্রকেশী ও ঘৃতাচী।’

 ইন্দ্র বিরক্ত হইয়া বলিলেন— ‘আমাকে না জানাইয়া কেন অপ্সরাগণকে যত্র তত্র পাঠানো হয়? মিশ্রকেশী ঘৃতাচীর বয়স হইয়াছে, তাহাদের দ্বারা কিছু হইবে না।’

 নারদ বলিলেন— ‘হে ইন্দ্র, সেজন্য চিন্তা করিও না। জাবালিও যুবা নহেন। একটু গৃহিণী-বাহিনী-জাতীরা অপ্সরাই তাঁহাকে ভালরকম বশ করিতে পারিবে।’

৬২