পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কজ্জলী

অ্যাটর্নির আপিসে আশি টাকা মাইনের চাকরি করতেন। রামজাদুবাবু তাঁর ক্লাসফ্রেণ্ড, সেই সূত্রে চাকরি। এখন, বকুবাবুর একটু হাতটান ছিল। বিপক্ষের ঘুষ খেয়ে একটা সমন ধরাতে দেরি কবিয়ে দেন। বামজাদুবাবু কড়া লোক, ছেলেবেলার বন্ধু বলে রেয়াত করলেন না। ব্যাপাব জানতে পেরে বকুলালকে যাচ্ছেতাই অপমান করলেন। বকুবাবুও তেরিয়া হয়ে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে বাসায় চলে এলেন। মন খারাপ, মেসেব বামুনকে বললেন রাত্রে কিচ্ছু খাবেন না। তাব পব হেদোব ধাবে গেলেন মাথা ঠাণ্ডা করতে। বাগের মাথায় চাকবি ছাড়লেন, কিন্তু সংসার চলে কিসে? পুঁজি তো সামান্য। রামজাদুর ওপর প্রচণ্ড আক্রোশ হ’ল। আবে উকিল- বাড়ি অমন একটুআধটু উপরি অনেকে নিয়ে থাকে, তা বলে কি পুরনো বন্ধুকে অপমান করতে হয়? আচ্ছা, এর শোধ একদিন বকুলাল নেবেনই।

 রাত নটায় মেসে ফিরে এলেন। মেস খাঁ খাঁ, সেদিন শনিবার, সব মেম্বার থিয়েটার দেখতে গেছে। কুলাল নিঃশব্দে বাসায় ঢুকে দেখতে পেলেন রান্না- ঘরের ভেতর -

 নগেন বলিল—'দক্ষিণরায়?'

৮৮