এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(২২৩)
বৈতরণী।
অশ্রু স্রোতে স্ফীত হয়ে বহে বৈতরণী;
চৌদিকে চাপিয়া আছে আঁধার রজনী।
পূর্ব্বতীর হ'তে হুহু আসিছে নিশ্বাস
যাত্রী লয়ে পশ্চিমেতে চলেছে তরণী!
মাঝে মাঝে দেখা দেয় বিদ্যুত বিকাশ,
কেহ কারে নাহি চেনে ব’সে নত শিরে।
গলে ছিল বিদায়ের অশ্রু-কণা হার
ছিন্ন হ’য়ে একে একে ঝরে পড়ে নীরে।
ঐ বুঝি দেখা যায় ছায়া পর পার,
অন্ধকারে মিটি মিটি তারা দীপ জ্বলে!
হোথায় কি বিস্মরণ, নিঃস্বপ্ন নিদ্রার
শয়ন রচিয়া দিবে ঝরা ফুল দলে!
অথবা অকূলে শুধু অনন্ত রজনী
ভেসে চলে কর্ণধার-বিহীন তরণী!