পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
কথামালা

ভিতরে ফেলিল। তলায় লুড়ি পড়াতে, জল কলসীর মুখের গোড়ায় উঠিল; তখন কাক, ইচ্ছামত জলপান করিয়া, তৃষ্ণা নিবারণ করিল।

 বলে যাহা সম্পন্ন না হয়, কৌশলে তাহা সম্পন্ন হইতে পারে।

 কাজ আটকাইলে বুদ্ধি যোগায়।

একচক্ষু হরিণ

এক একচক্ষু হরিণ, সতত, নদীর তীরে চরিয়া বেড়াইত। নদীর দিকে ব্যাধ আসিবার আশঙ্কা নাই, এই স্থির করিয়া, নিশ্চিন্ত হইয়া, স্থলের দিকে ব্যাধ আসিবার ভয়ে, সতত সেই দিকে দৃষ্টি রাখিত। দৈবযোগে, এক দিবস, কোনও ব্যাধ নৌকায় চড়িয়া যাইতেছিল। সে, দূর হইতে, ঐ হরিণকে চরিতে দেখিয়া, উহাকে লক্ষ্য করিয়া, শরনিক্ষেপ করিল। হরিণ, মনে মনে এই ভাবিয়া, প্রাণত্যাগ করিল, আমি, যে দিকে বিপদের আশঙ্কা করিয়া, সর্ব্বদা সতর্ক থাকিতাম, সে দিকে বিপদের কোনও কারণ