পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
কথামালা।

হে পুত্রগণ! আমি এক্ষণে ইহলোক হইতে প্রস্থান করিতেছি। আমার যে কিছু সংস্থান আছে, অমুক অমুক ভূমিতে অনুসন্ধান করিলে, পাইবে। পুত্রেরা মনে করিল, ঐ সকল ভূমির অভ্যন্তরে, পিতার গুপ্ত ধন স্থাপিত আছে।

 কৃষকের মৃত্যুর পর, তাহারা, গুপ্ত ধনের লোভে, সেই সকল ভূমির অতিশয় খনন করিল। এই রূপে, যার পর নাই পরিশ্রম করিয়া, তাহারা গুপ্ত ধন কিছু পাইল না বটে; কিন্তু, ঐ সকল ভূমির অতিশয় খনন করাতে, সে বৎসর এত শস্য জন্মিল যে, গুপ্ত ধন না পাইয়াও, তাহারা পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল প্রাপ্ত হইল।

নেকড়ে বাঘ ও মেষের পাল

কোনও স্থানে কতকগুলি মেষ চরিত। কতিপয় বলবান কুকুর তাহাদের রক্ষণাবেক্ষণ করিত। ঐ সকল কুকুরের ভয়ে, নেকড়ে বাঘ মেষদিগকে আক্রমণ করিতে পারিত না। একদা, বাঘেরা করিল, এই সকল কুকুর থাকিতে,