পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
কথামালা

হয়। বলিতে কি, ইহা মানুষের কোনও উপকারে লাগে না। এই কথা শুনিয়া, বটবৃক্ষ কহিল, মানুষ বড় অকৃতজ্ঞ; যে সময়ে, আমার আশ্রয় লইয়া, উপকার ভোগ করিতেছে, সেই সময়েই, আমি মানুষের কোনও উপকারে লাগি না বলিয়া, অম্লান মুখে আমায় গালি দিতেছে।

কুঠার ও জলদেবতা

এক দুঃখী, নদীর তীরে, গাছ কাটিতেছিল। হঠাৎ, কুঠার খানি, তাহার হাত হইতে ফস্কিয়া গিয়া, নদীর জলে পড়িয়া গেল। কুঠার খানি জন্মের মত হারাইলাম, এই ভাবিয়া, সেই দুঃখী অতিশয় দুঃখিত হইল, এবং, হায় কি হইল বলিয়া, উচ্চৈঃ স্বরে, রোদন করিতে লাগিল। তাহার রোদন শুনিয়া, সেই নদীর অধিষ্ঠাত্রী দেবতার অতিশয় দয়া হইল। তিনি তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন, এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি, কি জন্যে, এত রোদন করিতেছ? সে সমুদয় নিবেদন করিলে, জলদেবতা তৎক্ষণাৎ