পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (সচিত্র).pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কথামালা
১৭

কুক্কুট-কুঁক্‌ড়া, মোরগ।
অরণ্যের-বনের।
স্বভাব-প্রকৃতি।
সুযোগে—সুবিধাতে।
ধূর্ত্ত-চতুর, শঠ।
আহ্লাদিত—আনন্দিত, প্রফুল্ল
ধূর্ত্ততা-শঠতা।
হৃষ্টচিত্তে—আনন্দিত-মনে।
দন্তাঘাতে-কামড়ে।
বিদীর্ণ-ছিন্নভিন্ন।

প্রণয়-বন্ধুত্ব, ভাব, সদ্ভাব।
আরোহণ করিল—চড়িল।
উচ্চৈঃস্বরে—খুব চীৎকার করিয়া।
স্থির করিয়া-ঠিক করিয়া।
উপকারক—উপকারী।
আমোদ-আহ্লাদ—আমোদ-প্রমোদ।
প্রতিফল—উপযুক্ত শাস্তি।
আক্রমণ-উপরে আসিয়া পড়া।
নখর-প্রহারে-আঁচড়ে।
প্রাণসংহার করিল—মারিয়া ফেলিল।






চালক ও চক্র।

এক গোযান-চালক গো-শকটে বিস্তর পাটের গাঁইট বোঝাই দিয়া গ্রাম হইতে রেল-স্টেশনে যাইতেছিল। শকটের বলদ দুইটী অতি কষ্টে ঐ বোঝা বহিয়া লইয়া যাইতেছিল। তাহাদের যতই পরিশ্রম বা কষ্ট হউক, তাহারা নীরবে পথ অতিবাহিত করিতেছিল। কিন্তু শকটের চক্রগুলি অতি ভীষণ ক্যাঁচ কোঁচ রব করিতেছিল। চালক বহুক্ষণ ধরিয়া নীরবে সেই কর্কশ চীৎকার সহ্য করিতেছিল। শব্দ যাহাতে না হয়, সেইজন্য সে চক্রগুলি তৈলসিক্ত করিয়া দিল। কিন্তু তাহাতেও চক্রগুলির ভীষণ চীৎকার বন্ধ হইল না। তখন চালক অত্যন্ত বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ হইয়া চক্রগুলিকে সম্বোধন করিয়া বলিল, ওরে “দুৰ্বত্তগণ!