পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৭).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
কথামালা।

তাহার সম্মুখ দিয়া চলিয়া যায়। তাহাকে দেখিয়া, নেকড়ে অতি কাতর বাক্যে কহিল, ভাই হে! কয়েক দিন অবধি, আমি চলৎশক্তি রহিত হইয়া পড়িয়া আছি, ক্ষুধায় অস্থির হইয়াছি, তৃষ্ণায় ছাতি ফাটিয়া যাইতেছে। তুমি কৃপা করিয়া এই খাল হইতে জল আনিয়া দাও, আমি আহারের সংস্থান করিয়া লইব। মেষ কহিল, আমি তোমার অভিপ্রায় বুঝিয়াছি, আমি জল দিবার নিমিত্ত নিকটে গেলেই, তুমি আমার ঘাড় ভাঙ্গিয়া আহারের সংস্থান করিয়া লইবে।


সিংহ ও অন্য অন্য জন্তুর শিকার

সিংহ ও আর কয়েক জন্তু মিলিয়া শিকার করিতে গিয়াছিল। তাহারা, নানা বনে ভ্রমণ করিয়া, অবশেষে এক বৃহৎ হরিণ শিকার করিল। ভাগের সময় উপস্থিত হইলে, সিংহ কহিল, তোমাদিগকে ব্যস্ত হইতে হইবেক না; আমি যথাযোগ্য ভাগ করিতেছি। এই বলিয়া, সেই হরিণকে সমান তিন অংশে বিভক্ত করিয়া, সিংহ কহিল, দেখ, প্রথম ভাগ আমি লইব, কারণ আমি সকল পশুর রাজা,