এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪৪
কথা
অন্তিম কাকুতি স্বর,—তারি পরক্ষণে
কে পড়িল ভূমিপরে অসাড় পতনে।
বজ্রসেন বন হতে ফিরিল যখন
প্রথম উষার করে বিদ্যুৎ বরন
মন্দির-ত্রিশূল-চূড়া জাহ্নবীর পারে।
জনহীন বালুতটে নদী ধারে ধারে
কাটাইল দীর্ঘ দিন ক্ষিপ্তের মতন
উদাসীন মধ্যাহ্নের জ্বলন্ত তপন
হানিল সর্বাঙ্গে তার অগ্নিময়ী কশা।
ঘটকক্ষে গ্রামবধূ হেরি তার দশা
কহিল করুণ কণ্ঠে—“কে গো গৃহছাড়া
এসো আমাদের ঘরে।” দিল না সে সাড়া।
তৃষায় ফাটিল ছাতি,—তবু স্পর্শিল না
সম্মুখের নদী হতে জল এককণা।
দিনশেষে জ্বরতপ্ত দগ্ধ কলেবরে
ছুটিয়া পশিল গিয়া তরণীর পরে
পতঙ্গ যেমন বেগে অগ্নি দেখে ধায়
উগ্র আগ্রহের ভরে। হেরিল শয্যায়
একটি নূপুর আছে পড়ি। শতবার
রাখিল বক্ষেতে চাপি। ঝংকার তাহার