এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিবাহ
১১৯
গ্রহবিপ্র আশীর্বাদ করি
ধানদূর্বা দিল তাহার মাথে।
চড়ে কন্যা চতুর্দোলা-'পরে,
পুরনারী হুলুধ্বনি করে,
রঙিন বেশে কিংকরী কিংকরে
সারি সারি চলে বালার সাথে।
মাতা আসি চুমাে খেলেন মুখে,
পিতা আসি হস্ত দিলেন মাথে।
নিশীথ-রাতে আকাশ আলাে করি
কে এল রে মেত্রিপুরদ্বারে।
“থামাও বাঁশি" কহে, “থামাও বাঁশি,
চতুর্দোলা নামাও রে দাস-দাসী-
মিলেছি আজ মেত্রিপুরবাসী
মেত্রিপতির চিতা রচিবারে।
মেত্রি রাজা যুদ্ধে হত আজি,
দুঃসময়ে কারা এলে দ্বারে।”
“বাজাও বাঁশি, ওরে বাজাও বাঁশি"
চতুর্দোলা হতে বধূ বলে,
“এবার লগ্ন আর হবে না পার,
আঁচলে গাঁঠ খুলবে না তাে আর-