পাতা:কথা ও কাহিনী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
কথা

শেষের মন্ত্র উচ্চারো এইবার
 শ্মশান-সভায় দীপ্ত চিতানলে।”
“বাজাও বাঁশি, ওরে বাজাও বাঁশি"
 চতুর্দোলা হতে বধূ বলে।

বরের বেশে মােতির মালা গলে
 মেত্রিপতি চিতার 'পরে শুয়ে।
দোলা হতে নামল আসি নারী,
আঁচল বাঁধি রক্তবাসে তাঁরি
শিয়র-'পরে বৈসে রাজকুমারী
 বরের মাথা কোলের 'পরে থুয়ে।
নিশীথ-রাতে মিলন-সজ্জা-পরা
 মেত্রিপতি চিতার 'পরে শুয়ে।

ঘন-ঘন জাগল হুলুধ্বনি,
 দলে দলে আসে পুরাঙ্গনা।
কয় পুরােহিত, “ধন্য সুচরিতা!”
গাহিছে ভাট, “ধন্য মৃত্যুজিতা!”
ধূ ধূ ক'রে জ্বলে উঠল চিত—
 কন্যা বসে আছেন যােগাসনা।
জয়ধ্বনি উঠে শ্মশান-মাঝে,
 হুলুধ্বনি করে পুরাঙ্গনা।

১১ কার্তিক ১৩০৬