এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
কাহিনী
যাত্রী সবে। কহে নারী, “হে দাদাঠাকুর,
রক্ষা করাে, রক্ষা করাে।” দুই দৃঢ় করে
রাখালেরে প্রাণপণে বক্ষে চাপি ধরে।
ভৎসিয়া গর্জিয়া উঠি কহিলা ব্রাহ্মণ,
“আমি তাের রক্ষাকর্তা! রােষে নিশ্চেতন
মা হয়ে আপন পুত্র দিলি দেবতারে—
শেষকালে আমি রক্ষা করিব তাহারে!
শােধ দেবতার ঋণ; সত্য ভঙ্গ ক'রে
এতগুলি প্রাণী তুই ডুবাবি সাগরে!”
মােক্ষদা কহিল, “অতি মূর্খ নারী আমি,
কী বলেছি রােষবশে— ওগাে অন্তর্যামী,
সেই সত্য হল! সে যে মিথ্যা কত দূর
তখনি শুনে কি তুমি বােঝ নি ঠাকুর!
শুধু কি মুখের বাক্য শুনেছ দেবতা,
শােন নি কি জননীর অন্তরের কথা।”
বলিতে বলিতে যত মিলি মাঝি-দাঁড়ি
বল করি রাখালেরে নিল ছিঁড়ি কাড়ি
মার বক্ষ হতে। মৈত্র মুদি দুই আঁখি
ফিরায়ে রহিল মুখ কানে হাত ঢাকি
দন্তে দন্ত চাপি বলে। কে তাঁরে সহস্য
মর্মে মর্মে আঘাতিল বিদ্যুতের কশা-