পাতা:কথা বনাম কাজ - প্রমথনাথ রায়চৌধুরী.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা স্বনাম কাজ কোন ব্যক্তিবিশেষের ফুৎকারে ইহার উৎপত্তি মছে । সমগ্র দেশের বহুবর্ষসঞ্জাত নিস্ফলতার দীর্ঘশ্বাসে ইহার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হইয়াছে। জাতীয় মহাসমিতি যেদিন রুদ্ধ-শিল্পাগারের চাবি খুলিলেন, সেদিন আমাদের নাড়িতে কি এক অভিনৱ স্পন্দনই অনুভূত হইল! 嘯 轉 রাজদ্বারের দিকে অঙ্গুলীনির্দেশ করিয়া দেখাইতেছেন,—ঐ পাষাণকপাস্ট কিছুতেই মুক্ত হইবার নহে!—কসাইখানা কখনও সরাইখানা হইয়া উঠিতে পারে না, এ কথা ঠিক ; কিন্তু বাণী ত পাষাণী নন ; তিনি নবনীকোমলাও নহেন। কাপুরুষের মুখে যে বাণী আবেদন-নিবেদনের মত শুনায়, বীরের কণ্ঠে তাহাই প্রতিকার বা প্রতিবাদের ভেরনিনাদ ঘোষণা করে। নিভন্তু দীপশলাকার অগ্নি জ্বলন্ত মশালে রূপান্তর গ্রহণ করিয়া থাকে । আমরা যদি কথার মত কথা শুনাইতে ন পারি, তৰে সে অক্ষমতার জন্ত ধিক্কার দিলে তাহা মূকদিগকেই অধিক স্পর্শ করিবে! যেদিন লাটমজলিসে মহামতি গোখলে বাজেটের সমালোচনা করিয়াছিলেন, মারাঠী ব্রাহ্মণের মুখে সেদিনকার আবেদন-নিবেদন নিশ্চয়ই রাজপুরুষদের কর্ণে সুধাবর্ষণ করে নাই ! ক্ষমতামদান্ধ দম্ভস্ফীত কার্জনী তর্জন যে উৎসাহে পৰিত্ৰ বিস্তামন্দিরকে কলঙ্কিত করিতে সাহসী হইয়াছিল, যদি সমগ্র দেশের গর্জন দ্বারা অৰিলম্বে শাসিত না হইত, তৱে কি সেই ধৃষ্ট অনধিকারচর্চা আমাদিগকে দমিত ও নমিত জ্ঞানে মুখে মুখে পুনরাবৃত্তির জন্ত মাতিয়া উঠিবার প্রশ্রয় পাইত না ? আমাদের পাঁচ বছরের সেই ভাড়াটে লাট যে মুখে আরও দুই বছরের ম্যাদ বাড়াইতে ছুটিয়াছিলেন, এবারকার যাত্রায় যদি সে মুখ চুন হইয়া যায়, তবে তাহ দেশব্যাপী চীৎকারে বা ধিক্কারে। জানি, লাট ৰাসায় গিয়া মরিয়া থাকিবেন না, কিন্তু বড় তরিয়াও বাইবেন না! অন্তত তাছার পরবর্তীকে একটু সাম্বলাইয়া পা ফেলিতে হইৰে । যাহার (t