পাতা:কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 - কপালকুণ্ডলা। কর, স্রোতে লোক যথায় যায় যাকু ; পশ্চাৎ রে\ত্র হইলে পরামর্শ করা যাইবে ।” , মাবিকের এই পরামর্শে সম্মত হইয়৷ তদনুরূপ আচরণ করিতে व्नjक्रिांठा । অনেক ক্ষণ পর্যন্ত নাবিকের নিশ্চেষ্ট হইয় রছিল । যাত্রীরা ভয়ে কণ্ঠীগতপ্রাণ। বায়ুমাত্র মাই, সুতরাং উপহার তরঙ্গান্দোলনকম্প কিছুই জানিতে পারিলেন না। তথাপি সকলেই মৃত্যু নিকট মিশ্চিত করিলেন । পুৰুষেরা নিঃশব্দে দুর্গানাম জপ করিতে লাগিলেন স্ত্রীলোকের মুর ভুলিয়। বিবিধ শব্দ বিন্যাসে কাদিতে লাগিলেন । একটা স্ত্রীলোক গঙ্গণসাগরে সন্তান বিসর্জন করিয়f আসিয়াছিল—সেই কেবল কঁাদিল না । প্রতীক্ষা করিতে করিতে অনুভবে বেল প্রায় এক প্রহর হইল । এমত সময়ে অকস্মাৎ মাবিকের দরিয়ার প"চ পীরের সাম কীৰ্ত্তন করিয়া মছ কোলাহল করিয়া উঠিল । যাত্রীর। সকলেই জিজ্ঞাসা করিয়া উঠিলেন “ কি ! কি ! মাঝি কি হইয়াছে ?” মাঝিরাও একবাক্যে কোলাহল করিয়া কহিতে লাগিল, * রোদ উঠেছে । রোদ উঠেছে ! ডাঙ্গ ! ডাঙ্গণ ! ডাঙ্গ !” যাত্রীর সকলেই ঔৎসুক্য সহকারে নৌকার বাহির আসিয়া কোথায় আসিয়াছেন কি বৃত্তাস্ত দেখিতে লাগিলেন । দেখিলেন, স্বৰ্য্য প্রকাশ হইয়াছে। কুজবাটিকার অন্ধকার রাশি হইতে fদণ্ডমণ্ডল একেবারে বিমুক্ত হইয়াছে। বেল প্রায় প্রহরাতীত হইয়াছে। ষে স্থানে নৌকা আসিয়াছে, সে প্রকৃত মহাসমুত্র নহে, নদীর মোহান মাত্ৰ, কিন্তু তথায় নদীর ষেরূপ বিস্তার সেরূপ বিস্তার আর কোথাও লাই। নদীর এক কুল লোকার অতি নিকটবৰ্ত্তী বটে—এমন কি পঞ্চাশখ ছত্তের মধ্যাগত ; কিন্তু অপর কুলের চিন্ধুমাত্র দেখা যায় না। যে দিকে নয়ন ফিরান ঘায়, সেই দিকেই দেখা যায়, অনন্ত জলরাশি চঞ্চলর বিরশ্মিমালা প্রদীপ্ত হইয়। গগন প্রান্তে গগন সছিত্ত মিশাইয়াছে। নিকটস্থ জ্বল, সচরাচর