পাতা:কপালকুণ্ডলা (দ্বিতীয় সংস্করণ).pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশ্রয়ে।
৩৯

 অধিকারী কহিলেন, “মহাশয় পরিচয়টা লইতে একবার আসিলাম। আপনি ব্রাহ্মণ?”

 নব। “আজ্ঞা হাঁ?”

 অধি। “কোন্ শ্রেণী?”

 নব। “রাঢ়ীয় শ্রেণী।”

 অধি। “আমরাও রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ—উৎকল ব্রাহ্মণ বিবেচনা করিবেন না। বংশে কুলাচার্য্য, তবে এক্ষণে মায়ের পদাশ্রয়ে আছি। মহাশয়ের নাম?”

 নব। “নবকুমার শর্ম্মা।”

 অধি। “নিবাস?”

 নব। “সপ্তগ্রাম।”

 অধি। “আপনারা কোন্ গাঁই।”

 নব। “বন্দ্যঘাটি।”

 অধি। “কয় সংসার করিয়াছেন?”

 নব। “এক সংসার মাত্র।”

 নবকুমার সকল কথা খুলিয়া বলিলেন না। প্রকৃত পক্ষে তাঁহার এক সংসারও ছিল না। তিনি রামগোবিন্দ ঘোষালের কন্যা পদ্মাবতীকে বিবাহ করিয়াছিলেন। বিবাহের পর পদ্মাবতী কিছু দিন পিত্রালয়ে রহিলেন। মধ্যে মধ্যে শ্বশুরালয়ে যাতায়াত করিতেন। যখন তাঁহার বয়স ত্রয়োদশ বৎসর, তখন তাঁহার পিতা সপরিবারে পুৰুষোত্তম দর্শনে গিয়াছিলেন। এই সময়ে পাঠানেরা আকবর শাহ কর্ত্তৃক বঙ্গদেশ হইতে দূরীভূত হইয়া উড়িষ্যায় সদলে বসতি করিতেছিল। তাহাদিগের দমনের জন্য আকবর