দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
পান্থনিবাসে।
“ক্বৈষা যোষিৎ প্রকৃতিচপলা।
আমি বলিয়াছি নবকুমারের সঙ্গিনী অসামান্যা রূপসী। এ স্থলে, যদি প্রচলিত প্রথানুসারে তাঁহার রূপবর্ণনে প্রবৃত্ত না হই, তবে পুৰুষ পাঠকেরা বড়ই ক্ষুণ্ন হইবেন। আর যাঁহারা স্বয়ং সুন্দরী তাঁহারা পড়িয়া বলিবেন, “তবে বুঝি মাগী পাঁচপাঁচি!” সুতরাং এই কামিনীর রূপ বর্ণনে আমাকে প্রবৃত্ত হইতে হইল। কিন্তু কি লইয়াই বা তাঁহার বর্ণনা করি? কখন কখন বটতলার মা সরস্বতী আমার স্কন্ধে চাপিয়া থাকেন। তাঁহার অনুগ্রহে কতকগুলিন ফলমূলের ডালি সাজাইয়া রূপ বর্ণনার কার্য্য এক প্রকার সাধন করিতে পারি, কিন্তু পাছে দাড়িম্ব রম্ভা ইত্যাদি নাম শুনিয়া পাঠক মহাশয়ের জঠরানল জ্বলিয়া উঠে, এই আশঙ্কায় সে চেষ্টায় বিরত রহিলাম।
যদি এই রমণী নির্দ্দোষসৌন্দর্য্যবিশিষ্টা হইতেন, তবে বলিতাম, “পুৰুষ পাঠক! ইনি আপনার গৃহিণীর ন্যায় সুন্দরী। আর সুন্দরি পাঠকারিণি! ইনি আপনার