পাতা:কপালকুণ্ডলা (দ্বিতীয় সংস্করণ).pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৮
কপালকুণ্ডলা।

বিরক্তিজনকের প্রতি বিরাগের লাঘব হইল, মনুষ্য মাত্র প্রেমের পাত্র হইল; পৃথিবী সৎকর্ম্মের জন্য মাত্র সৃষ্টা বোধ হইতে লাগিল; তাবৎ সংসার সুন্দর বোধ হইতে লাগিল। প্রণয় এইরূপ! প্রণয় কর্কশকে মধুর করে, অসৎকে সৎ করে, অপুণ্যকে পুণ্যবান্ করে, অন্ধকারকে আলোকময় করে!

 আর কপালকুণ্ডলা? তাহার কি ভাব। চল পাঠক তাহাকে দর্শন করি।


ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।

অবরোধে।

কিমিত্যপাদ্যাভরণানি যৌবনে
ধৃতংত্বয়া রার্দ্ধকশোভি বল্কলম্।
বদপ্রদোষে স্ফুটচন্দ্র তারকা
বিভাবরী যদ্যরূনার কল্পতে॥

কুমারসম্ভব।

সকলেই অবগত আছেন, যে পূর্ব্বকালে সপ্তগ্রাম মহাসমৃদ্ধিশালিনী নগরী ছিল। এককালে যবদ্বীপ হইতে রোমকপর্য্যন্ত সর্ব্বদেশের বণিকেরা বাণিজ্যার্থ এই মহানগরীতে মিলিত হইত। কিন্তু বঙ্গীয় দশম একদাশ শতাব্দীতে সপ্তগ্রামের প্রাচীন সমৃদ্ধির লাঘব জন্মিয়া-