পাতা:কবিকঙ্কণ-চণ্ডী (প্রথম ভাগ) - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 কবিকঙ্কণ-চণ্ডী কয় বাবা কৃষ্ণেৰ উল্লেখ আছে, তাহাতে কৃষ্ণ বলিতে ঋষি মাত্ৰ বুঝায়। দু’তিন স্থান ছাড়া সর্বত্র কৃষ্ণ ঋষি বলিয়াই পবিচিত । ঋগ্বেদেৰ খিলসুক্তে কৃষ্ণ পবিমপুরুষ বলিষা উক্ত হইয়াছেন বলিযা খিলসুক্তোব ভাষ্যকাবগণ মনে কবিয়া থাকেন। খিলসুক্ত ( ১ + ১ ) বলিতেছেন- “কৃষ্ণ বিষ্ণে বাসুদেব হৃষীকেশ নমস্তুতে” । ঋগ্বেদ, কৌষিতকী ব্ৰাহ্মণ, ও ছন্দোগ্য-উপনিষৎ কৃষ্ণকে আঙ্গিবস আখ্যা দিয়াছেন। পাণিনিব ৪।১।৯৬ সুত্রে গণসম্পর্কে কৃষ্ণেব উল্লেখ আছে । ৪।১৯৯ সুত্রে গণসম্পকে কাষণ্ডায়ন ও বাণায়ন গোত্ৰ নিম্পত্তিকালে কৃষ্ণ ও রণ পদ দেওয়া হইয়াছে। কাষড়যন ও বাণায়ন, এ দুইটি বশিষ্ঠ শেণীব অন্তগত ব্ৰাহ্মণ (see at বৌদ্ধগ্রন্থে “কৃষ্ণ” এই নামটি “কণহী”-রূপে পবিণত হইয়াছে। শব্দশাস্ত্রানুসাবে কৃষ্ণ ও কণােহ অভিন্ন। দীঘনিকাষ নামক বৌদ্ধগ্রন্থে (৩১২.৩) কণহায়ন গোত্র ও কণােহ ঋষিব নাম আছে। দীঘনিকায়েব এই কণােহ ঋগ্ধেদেব ঋষি হইতেও পাবেন। তবে তিনি আমাদেব কৃষ্ণ কি না তৎসম্বন্ধে কোন প্ৰমাণ নাই । ঘট-জাতকে রূষ্ণেব যে কাহিনী আছে, তাহা যে বিকৃত আকাবে আমাদেব রুষ্ণেবই কাহিনী, তৎসম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই । জৈন প্রবাদেও দেখা যায়, এই গল্পগুলি সাধাবাrণব খুব প্ৰিয় ছিল । ইহাদেব প্ৰাচীন গোষ্ঠীপতিদেব মধ্যে বাসুদেব ও বলদেবেব নাম আছে । কৃষ্ণ বাসুদেবেব মধ্যে কৃষ্ণ নবম ছিলেন [ হেমচন্দ্ৰেব অভিধানচিন্তামণি, পৃ: ১২৪, অস্তগদ দাসাও পৃঃ ১৩-১৫, ৬৭,৮২ ] আবে এই কৃষ্ণেব দ্বাবাবতী বা দ্বাবকাব। সহিত সম্বন্ধও নিবন্ধপিত হইয়াছে । পববৰ্ত্তী কল্পে তিনি দ্বাদশ তীর্থঙ্কব হইবেন। এবং ঠাহাব বংশেব দেবকী বোহিণী বলদেব ও জীবকুমাব পূৰ্ব্বেবা ন্যায় অবস্থাপন্ন হইবেন । দেখা যাইতেছে, ব্ৰাহ্মণ্য ধৰ্ম্মেব বাহিবে ও কৃষ্ণকথা অতি প্ৰিয় ছিল । এই গোত্রেব কথাই জাতিকে বা ভাষ্যকাব নির্দেশ কবিয়া কৃষ্ণকে গোত্ৰনাম বলিয়াছেন। সুতবাং দেথা যাইতেছে যে, কাষ5ায়ন গোত্ৰ ব্ৰাহ্মণকে অতিক্রম কবিয়াছে। তাব পর ছন্দোগ্য-উপনিষদেব দেবকীপুত্র কৃষ্ণ এই নাম। ইনি আঙ্গিবস যে ঘোবি, তাব শিষ্য । যদি কৃষ্ণও আঙ্গিবাসী হন, আব্ব এইরূপ হওয়াও অসম্ভব নয়, তাহা হইলে ধবিয়া লইতে পাবা যায় যে, কৃষ্ণ যে ঋষি ছিলেন, তৎসম্বন্ধীয় প্ৰবাদ বা কিংবদন্তী ঋগ্বেদের সময় হইতে আবিস্ত করিয়া ছান্দোগ্যউপনিষদের সময় পৰ্য্যস্ত চলিয়াছিল--সঙ্গে সঙ্গে কাঞ্চায়ন নামে গোত্ৰও জনশ্রুতিমূলক ছিল। কৃষ্ণসমূহকে লইয়া কাষ্ণায়ন-এই-সমস্ত কৃষ্ণেব মধ্যে যিনি আদিম কৃষ্ণ, তিনিই কৃষ্ণ-গোত্রের স্থাপয়িতা বা প্ৰবৰ্ত্তক। যখন বাসুদেব পরমপুরুষ-পদবাচ্য