পাতা:কবিকঙ্কণ-চণ্ডী (প্রথম ভাগ) - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাদেবের দেবত্বের ক্রমবিকাশের ইতিহাস s' শিব মগ-ব্ৰাহ্মণদের দেবতা ছিলেন; তারা আবার নাগপূজক ছিল; দুই দেবতাকে একত্র করিয়া তারা ফণীভূষণ শিব পরিকল্পনা করে। জৈন তীর্থঙ্করদিগের মূৰ্ত্তি ফণীভূষণ দিগম্বর করিয়া গঠিত হইত ; তার মানে তঁরা হিংসা ও হিংস্রতাকে বশ করিয়াছেন, এবং তঁরা লৌকিক প্রথা লজ্জার বশবৰ্ত্তী ও বিষয়াসক্ত নহেন। জৈন ধৰ্ম্মের প্রতিকূলে শৈব ধৰ্ম্ম যখন উখিত হইল, তখন দিশম্বর জৈন তীর্থঙ্কর ফণীভূষণ দিগম্বর শিব হইয়া পূজা পাইতে লাগিলেন। লিঙ্গপূজা শিবপূজার বহু পূৰ্ব্ব হইতে বহু দেশে অনুষ্ঠিত হইত-ঈজিপ্টে, ব্যাবিলনে, সৗরিয়াতে, গ্রীসে, রোমে লিঙ্গপূজা প্রচলিত ছিল। এই-সমস্ত লোক শিশ্নদেবাঃ বলিয়া আৰ্য্য-সমাজে ঘুণিত ছিল; কিন্তু এই সম্প্রদায়ের প্রাবল্য হওয়াতে এই পূজা-পদ্ধতিকে শৈব ধৰ্ম্মের অন্তর্গত করিয়া লওয়া হয়। এইজন্য শিবশক্তি-পূজাব মধ্যে বহুবিধ অশ্লীল জঘন্য দুনীতিপূর্ণ অনুষ্ঠান স্থান পাইয়াছে। গোড় জাতির এক বীবপুরুষেব নাম ছিল লিঙ্গো ; তারা লিঙ্গোকে দেবতা-জ্ঞানে পূজা কবি ত , পৰে। এই লিঙ্গে শিবলিঙ্গের সঙ্গে এক হইয়া যায়। এইরূপে অনাৰ্য্য অন্ত্যজ ভারতবাহা যত সমাজেব যত দেবতা যখন যখন প্ৰবল ও প্ৰধান হাইদ্রা উঠিয়াছেন, তখন তখন তঁহাদেব সকলকেই এই শিবস্বৰূপে নিমজ্জিত করা হইয়াছে। শিবের মহিমা এইরূপে যখন বহু দেশ-বিদেশের দেবতাব দ্বারা পরিপুষ্ট হইতেছিল, তখন শৈব সম্প্রদায়ের প্রধান কেন্দ্ৰ হইয়াছিল কাশী । এই কাশীতে বুদ্ধদেব প্রথম ধৰ্ম্মপ্রচার করেন; সুতরাং বৌদ্ধ ধৰ্ম্মকে শৈবধৰ্ম্মে নিমজ্জিত করিয়া বুদ্ধকে শিবস্বরূপ করিয়া তুলিতে শৈবদের বেগ পাইতে হয় নাই। বৈদিক ব্ৰাহ্মণেরা অনাৰ্য্য বৌদ্ধ দেবতার সংমিশ্রণে প্ৰস্তুত শিবকে যেমন স্বীকার করিতে চাহেন নাই, শিবের পুরী কাশীকেও তেমনি তীৰ্থ বলিয়া প্ৰথমে স্বীকার করেন নাই। এইজন্য বৈদিক ব্ৰাহ্মণদের প্রতিনিধি বেদ-ব্যাস ব্যাসকাশী প্রতিষ্ঠার প্রয়াস করেন ; কিন্তু বেদব্যাসের চেষ্টা বিফল হয়। ক্ৰমে কাশীমাহাত্ম্য প্রবল হইয়া এমন বিশ্বাস প্রচারিত হইল যে সেখানে মরিলেই লোক শিব হয় ও কাশী পৃথিবীবহিভূত স্থান। কাশী যে ভূলোকে সংলগ্ন নয় তাহা সকল পুরাণেই আছে “ভুলোকে নৈৰ সংলগ্নম, অন্তরীক্ষে মমালয়ম।” -भ९छशूद्रां१, ७४२ ग्रांद्र । “সপাদযোজনং তত্ত্ব দেশং পৃথ্বী বহিষ্কৃতম।” -दूक्ष्कर्द११, अर्थ], २२२७ ॥